6
অনুতাপহীন ইস্রায়েল 
 1 “এসো, আমরা সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই। 
তিনি আমাদের খণ্ড খণ্ড করেছেন, 
কিন্তু তিনিই আমাদের আরোগ্য করবেন; 
তিনি আমাদের জখম করেছেন, 
কিন্তু তিনিই আমাদের ক্ষতসকল বেঁধে দেবেন। 
 2 দু-দিন পরে তিনি আমাদের পুনরুজ্জীবিত করবেন; 
তৃতীয় দিনে তিনি আমাদের করবেন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত, 
যেন আমরা তাঁর সান্নিধ্যে বসবাস করি। 
 3 এসো, আমরা সদাপ্রভুকে জ্ঞাত হই, 
তাঁকে জানার জন্য স্থিরসংকল্প নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাই। 
অরুণোদয়ের মতোই সুনিশ্চিত 
তাঁর আবির্ভাব; 
তিনি আসবেন আমাদের কাছে বৃষ্টির বারিধারার মতো, 
আসবেন ভূমি-সেচনকারী শেষ বর্ষার মতো।” 
 4 “ইফ্রয়িম, আমি তোমাকে নিয়ে কী করব? 
যিহূদা, আমি তোমাকে নিয়েই বা কী করব? 
তোমাদের ভালোবাসা তো সকালের কুয়াশার মতো, 
ভোরের শিশির, যা প্রত্যুষেই অন্তর্হিত হয়। 
 5 তাই, আমি ভাববাদীদের দ্বারা তোমাদের খণ্ডবিখণ্ড করেছি, 
আমার মুখের বাক্য দ্বারা আমি তোমাদের হত্যা করেছি; 
আমার দণ্ডাজ্ঞা বিদ্যুতের মতো তোমাদের উপরে আছড়ে পড়েছে। 
 6 কারণ আমি দয়া চাই, বলিদান নয়, 
এবং হোমবলির চেয়ে চাই ঈশ্বরকে স্বীকৃতি দান। 
 7 আদমের মতো তারা নিয়ম ভেঙে ফেলেছে; 
তারা ওখানেও আমার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছিল। 
 8 গিলিয়দ হল দুষ্ট ও অধর্মাচারীদের নগর, 
তা রক্তাক্ত পদচিহ্নে কলঙ্কিত। 
 9 লুণ্ঠনকারী ব্যক্তিরা যেমন কোনো মানুষের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে, 
তেমনই করে থাকে যাজকের দল; 
তারা শিখিমের পথে লোকেদের হত্যা করে, 
তারা লজ্জাকর অপরাধ সংঘটিত করে। 
 10 আমি ইস্রায়েল কুলে এক ভয়ংকর ব্যাপার দেখেছি। 
সেখানে ইফ্রয়িম বেশ্যাবৃত্তিতে জড়িয়েছে, 
আর ইস্রায়েল হয়েছে কলুষিত। 
 11 “এবং যিহূদা, তোমার জন্যও, 
নিরূপিত আছে এক শস্যচয়নের কাল। 
“আমি যখনই আমার লোকেদের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করব,