54
ঈশ্বর তাঁর লোকদের ঘরে ফিরিয়ে আনলেন 
 1 মহিলারা সুখী হও! 
তোমাদের কোন সন্তান নেই 
কিন্তু তোমাদের সুখী হওয়া উচিৎ| 
প্রভু বলেন, 
“যে মহিলা একা আছে 
সে বিবাহিত মহিলার চেয়েও বেশী সন্তান পাবে|” 
 2 তোমাদের তাঁবু বড় কর| 
দরজা বড় করে খুলে রাখো| 
নিজেদের ঘর বড় করবার কাজ বন্ধ রেখো না| 
তোমাদের তাঁবু শক্ত কর| 
 3 কেন? কারণ তোমাদের দ্রুত বৃদ্ধি হবে| 
তোমাদের শিশুরা অন্যান্য জাতিদের থেকেও মানুষ পাবে| 
তোমাদের শিশুরা ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরেও বসবাস করবে| 
 4 ভীত হয়ো না! 
তোমরা হতাশ হবে না| 
তোমার বিরুদ্ধে লোকে বাজে কথা বলবে না| 
তোমরা কখনও বিব্রত হবে না| 
যখন ছোট ছিলে তোমরা লজ্জা পেতে| 
কিন্তু এখন তোমরা সেই লজ্জা ভুলে যাবে| 
স্বামী হারিয়ে তোমরা যে লজ্জা পেয়েছিলে 
সেই লজ্জার কথা তোমরা আর স্মরণ করবে না| 
 5 কেন? কারণ তোমার স্বামী সেই একজন (ঈশ্বর) যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন| 
তাঁর নাম সর্বশক্তিমান প্রভু| 
তিনি ইস্রায়েলের পরিত্রাতা, তিনি ইস্রায়েলের পবিত্রতম| 
তাকেই গোটা পৃথিবীর ঈশ্বর বলে ডাকা হবে| 
 6 তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার মত! 
তোমরা মনে প্রাণে খুব দুঃখী থাকলেও 
প্রভু তোমাদের তাঁর মানুষ হবার ডাক দেন| 
তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা যুবতী স্ত্রীদের মতো| 
কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের ডাক দিয়েছেন| 
 7 ঈশ্বর বলেন, “আমি তোমাদের অল্প সময়র জন্য ত্যাগ করেছিলাম| 
আমি তোমাদের নিজের আসনে আবার একত্রিত করব| 
আমি তোমাদের মহৎ উদারতা দেখাবো| 
 8 আমি রুদ্ধ হয়েছিলাম, তাই অল্প কালের জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে আমাকে লুকিয়ে রেখেছিলাম| 
তবে এখন সদয় হয়ে চির কালের জন্য তোমাদের আরাম দেব|” 
তোমাদের পরিত্রাতা প্রভু এই সব বলেছেন| 
 9 ঈশ্বর বলেন, “নোহর সময়ের কথা স্মরণ কর, আমি পৃথিবীকে বন্যা দিয়ে শাস্তি দিই| 
কিন্তু আমি নোহকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম পুনরায় বন্যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করব না| 
ঠিক সে রকম তোমাদের কথা দিচ্ছি, তোমাদের ওপর আর রুদ্ধ হব না এবং তোমাদের আর কখনও বাজে কথা বলব না|” 
 10 প্রভু বলেন, “পর্বত অদৃশ্য হতে পারে| 
পাহাড় চূর্ণ হতে পারে| 
কিন্তু আমার দয়া তোমাদের থেকে দূরে যাবে না| 
তোমাদের শান্তি দেবো 
এবং এই শান্তি কখনও শেষ হবে না|” 
প্রভু তোমাদের ক্ষমা প্রদর্শন করে এই কথাগুলি বলেছিলেন| 
 11 “তুমি গরীব শহর! 
শত্রুরা ঝড়ের মত তোমার ওপর আছড়ে পড়েছিল| 
কোন ব্যক্তি তোমাদের আরাম দেয় নি| 
তোমাদের দেওয়ালে পাথর গাঁথবার জন্য 
আমি একটি সুন্দর মূল্যবান অলঙ্কার মিশ্রিত হামান ব্যবহার করব| 
এবং শিলান্যাসের সময় ব্যবহার করব নীলকান্তমণি পাথর| 
 12 প্রাচীরের মাথায় যে পাথর থাকবে তা বানানো হবে পান্না দিয়ে| 
ফটকে ব্যবহার করব উজ্জ্বল রত্ন| 
তোমার চারি দিকের প্রাচীরে ব্যবহার করব মূল্যবান রত্ন| 
 13 তোমার শিশুরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করবে এবং তিনি তাদের শিক্ষা দেবেন| 
শিশুদের জন্য থাকবে প্রকৃত শান্তি| 
 14 তোমাদের ধার্মিকতা দিয়ে গড়া ও প্রতিষ্ঠা করা হবে| 
হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে তুমি থাকবে নিরুপদ্রব| 
ভয়ের কিছু থাকবে না| 
কিছুই তোমাকে আঘাত করতে আসবে না| 
 15 আমার কোন সেনাদল তোমাকে আক্রমণ করবে না| 
যদিও বা করে তবে তুমি তাদের পরাস্ত করবে| 
 16 “দেখো, আমি কামারকে সৃষ্টি করেছি| সে আগুনে ফুঁ দিয়ে তাকে উৎতপ্ত করে| তারপর সে আগুন ব্যবহার করে গরম লোহার সাহায্যে নিজের ইচ্ছেমত যন্ত্র বানায়| ঠিক সে ভাবেই আমি সৃষ্টি করেছি ‘ধ্বংসকারকদের’ জিনিস ধ্বংস করার জন্য| 
 17 “মানুষ তোমাকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র বানাবে| কিন্তু সেই অস্ত্রগুলি তোমাকে পরাস্ত করতে পারবে না| কেউ কেউ তোমার বিরুদ্ধে কথা বলবে| তবে যে যে লোক তোমার বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের ভুল বলে প্রমাণ করা হবে|” 
প্রভু বলেন, “প্রভুর দাসরা কি পায়? আমার কাছ থেকে আসা ভালো জিনিস তারা পায়!”