37
 1 “সত্যি, এটাতে আমার হৃদয় কাঁপছে; 
এটা তার জায়গা থেকে সরে গেছে। 
 2 ওহে শোন, ঈশ্বরের গলার আওয়াজ শোন, 
সেই আওয়াজ যা তাঁর মুখ থেকে বের হয়। 
 3 তিনি এটা সমস্ত আকাশের নিচে পাঠান 
এবং তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাঁর বিদ্যুতের ঝলক পাঠান। 
 4 এটার পরে তাঁর স্বর গর্জিত হয়; 
তাঁর মহিমার রবে তিনি বজ্রধ্বনি করেন; 
যখন তাঁর রব শোনা যায়, তিনি তাদের বাধা দেন না। 
 5 ঈশ্বর তাঁর রবে আশ্চর্য্যরূপে গর্জন করেন; 
তিনি মহান কাজ করেছেন যা আমরা বুঝতে পারি না। 
 6 কারণ তিনি তুষারকে বলেন, পৃথিবীতে পড়, 
একইভাবে বৃষ্টিকেও বলেন, 
এক মহা বৃষ্টির ধারা হয়ে পড়তে। 
 7 তিনি প্রত্যেক মানুষের হাত মুদ্রাঙ্কিত করেন, 
যাতে সমস্ত মানুষ যাদের তিনি বানিয়েছেন তারা তাঁর কাজ দেখতে পায়। 
 8 তখন পশুরা লুকাবে এবং তারা তাদের গুহায় থাকবে। 
 9 দক্ষিণে দিকের ঘর থেকে ঝড় আসে 
এবং উত্তর দিক থেকে ঝড়ো হাওয়ায় ঠান্ডা আসে। 
 10 ঈশ্বরের নিঃশ্বাসের দ্বারা বরফ দেওয়া হয়েছে; 
বিস্তৃত জল ধাতুর মত জমে গেছে। 
 11 সত্যি, তিনি ঘন মেঘকে জলে ভরেন; 
তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক মেঘের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দেন। 
 12 তিনি তাঁর পরিচালনায় মেঘেদের ঘুরান, 
যাতে তারা তাঁর আদেশ অনুযায়ী কার্য্য করে, 
সমস্ত পৃথিবীর উপরে করে। 
 13 তিনি এসমস্ত ঘটান, কখনও এটা শাসনের জন্য, 
কখনও তাঁর নিজের দেশের জন্য 
এবং কখনও চুক্তির বিশ্বস্ততার জন্য ঘটান। 
 14 হে ইয়োব, এটা শুনুন, স্থির হন 
এবং ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজের বিষয়ে চিন্তা করুন। 
 15 আপনি কি জানেন ঈশ্বর কীভাবে তাঁর ইচ্ছা মেঘেদের উপরে রাখেন 
এবং বিদ্যুতকে তার মধ্যে তীব্র গতিতে ছোটান? 
 16 আপনি কি মেঘেদের দোলন বোঝেন, 
ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজ বোঝেন, কে জ্ঞানে সিদ্ধ? 
 17 যখন দক্ষিণী বাতাসের জন্য পৃথিবী স্তব্ধ, 
তখন কেন আপনার বস্ত্র গরম হয়? 
 18 আপনি কি তাঁর মত আকাশকে বাড়াতে পারেন যেমন তিনি পারেন সেই আকাশ, 
যা ছাঁচে ঢালা আয়নার মত শক্ত? 
 19 আমাদের শেখান তাঁকে আমরা কি বলব, 
কারণ আমাদের মনের অন্ধকারের জন্য আমরা আমাদের অভিযোগ রাখতে পারি না। 
 20 তাঁকে কি বলা হবে যে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই? 
কেউ কি কবলিত হতে চাইবে? 
 21 যখন বাতাস বয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়, 
তখন লোকেরা আকাশে জ্বলজ্বল করা সূর্য্যের দিকে তাকাতে পারে না। 
 22 উত্তর দিক থেকে সোনার সমারোহ আসে ঈশ্বরের উপরে ভয়ঙ্কর মহিমা থাকে। 
 23 সর্বশক্তিমানের সম্বন্ধে, 
আমরা তাঁকে খুঁজে পেতে পারি না; 
তিনি পরাক্রম এবং ধার্ম্মিকতায় মহান। 
তিনি লোকেদের অত্যাচার করেন না। 
 24 এই জন্য, লোকেরা তাঁকে ভয় পায়। 
যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করে তিনি তাদের প্রতি মনোযোগ দেন না।”