ভালো খবর


প্রশ্ন: শাশ্বত জীবন লাভ করেছেন?

উত্তর:
বাইবেল শাশ্বত জীবন লাভের একটা প্রশস্ত পথের নির্দেশ দেয়। প্রথমে, নিশ্চিত ভাবে স্বীকার করা উচিৎ যে আমরা ঈশ্বরের কাছে পাপ করেছি: “আমরা সকলেই পাপ করেছি এবং ফলে আমরা সকলেই ঈশ্বরের মহিমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি” (রোমানস্ 3:23)। আমারা সকলেই এমন সব কাজকর্ম করেছি যা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে, তা আমাদেরকে শাস্তিযোগ্য করে তোলে। যেহেতু আমাদের সব পাপই চুড়ান্তভাবে শাশ্বত ঈশ্বরের বিরুদ্ধেই হয় তাই কেবলমাত্র শাশ্বত শাস্তিই আমাদের পক্ষে পর্যাপ্ত হয়।“পাপের ফল হচ্ছে মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের দান হল আমাদের প্রভু যিশুখ্রিষ্টের মাধ্যমে শাশ্বত জীবন লাভ” (রোমানস্ 6:23)।

যাইহোক, যিশুখ্রিষ্ট, ঈশ্বরের নিষ্পাপ (1পিটার 2:22) শাশ্বত সন্তান একজন মানব হয়ে এসেছিলেন, (জন 1:1, 14) এবং আমাদের পাপের মূল্য মেটাতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। “এর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসাকে প্রত্যক্ষভাবে দেখিয়েছেন: যেখানে আমরা পাপী এবং খ্রিষ্ট আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন"(রোমানস্ 5:8)। আমাদের প্রাপ্য শাস্তি নিজের কাঁধে নিয়ে (2 করিন্থিয়ানস্ 5:21) যিশুখ্রিষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন (জন 19:31-42)। তিনদিন পরে তিনি মৃত্যুশয্যা থেকে উঠে এসেছিলেন (1 করিন্থিয়ানস্ 15:1-4), এবং মৃত্যু ও পাপের উপর তাঁর জয়কে প্রমাণ করেছিলেন। “তাঁর মহান ক্ষমার দ্বারা তিনি আমাদেরকে তাঁর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে জাগ্রত করার আশায় নতুন জীবন দান করেছিলেন” (1 পিটার 1:3)।

বিশ্বাসের দ্বারা, আমরা নিশ্চয়ই পাপ থেকে দূরে সরে যাব এবং পরিত্রাণের জন্য খ্রিষ্টের দিকে ফিরে আসব (অ্যাক্ট 3:19)। যদি আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারি, আমাদের পাপের কারণে তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকে বিশ্বাস করতে পারি, তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রাপ্ত হব এবং স্বর্গে গিয়ে শাশ্বত জীবনের প্রতিশ্রুতি পাব। “ঈশ্বর এই পৃথিবীকে এতটাই ভালবাসেন যে তিনি তাঁর একমাত্র সন্তানকে পাঠিয়েছিলেন, যে তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখবে তার কখনও বিনাশ হবে না এবং সে স্বর্গে শাশ্বত জীবন পাবে” (জন 3:16)। “যদি তুমি তোমার নিজের মুখে স্বীকার কর যে “যীশুই প্রভু”, এবং নিজের মন থেকে বিশ্বাস কর যে ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যু থেকে তুলে এনেছিলেন, তবেই তুমি নুতন করে প্রাণ ফিরে পাবে” (রোমানস্ 10:9)। ক্রুশবিদ্ধ খ্রিষ্টের সমাপ্ত কাজের দ্বারা বোঝা যায় যে, শুধুমাত্র বিশ্বাসই হল শাশ্বত জীবন লাভের একমাত্র সত্য পথ! “তাঁর অনুগ্রহেই বিশ্বাসের মাধ্যমে তুমি বেঁচে আছ – এটা তোমার নিজের কারণে হয় নি, এটা ঈশ্বরেরই দান – কাজের দ্বারা নয়, যাতে কেউই যেন অহংকার করতে না পারে” (এফেসিয়ানস্ 2:8-9)।

যদি তুমি যিশুখ্রিষ্টকে তোমার পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করতে চাও, তাহলে এর একমাত্র পথ হল প্রার্থণা। মনে রেখো, এই প্রার্থণা বা অন্য কোন প্রার্থণা তোমাকে রক্ষা করতে পারবে না। একমাত্র খ্রিষ্টে বিশ্বাসই তোমাকে পাপ থেকে বাঁচাতে পারবে। এই প্রার্থণা ঈশ্বরে তোমার বিশ্বাস প্রদর্শনের একটা সামান্য পথ এবং তোমাকে পরিত্রান করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর উপায়। “ঈশ্বর, আমি জানি যে আমি তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি এবং শাস্তি আমার প্রাপ্য। কিন্তু যিশুখ্রিষ্ট আমার প্রাপ্য শাস্তি নিজের কাধেঁ নিয়েছেন যাতে তাঁকে বিশ্বাস করে আমি ক্ষমা পেতে পারি। আমি পাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারি এবং পরিত্রান পাওয়ার জন্য তোমার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারি। আপনার বিস্ময়কর করুণা এবং ক্ষমার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ – শাশ্বত জীবন দানের জন্য! আমেন!”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” বাটন-এর ওপর ক্লিক করুন।

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: কেমন করে আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমাভিক্ষা লাভ করতে পারি?

উত্তর:
অ্যাক্ট 13:38 এ বলা হয়েছে, “অতএব, আমার ভাইয়েরা, আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ভগবান যিশুর মাধ্যমেই আপনারা পাপের ক্ষমাভিক্ষা লাভ করবেন”।

ক্ষমাভিক্ষা কি এবং আমার কেন এটা প্রয়োজন?

“ক্ষমা” শব্দটির অর্থ হল স্লেটকে ধুয়ে পরিষ্কার করা, মার্জনা করা, কোন দায় মুক্ত করা। যখন আমরা কোন ব্যক্তির প্রতি অন্যায় করি, তখন আমরা তাদের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করি যাতে সর্ম্পক পুনরুদ্ধার করা যায়। ক্ষমা মঞ্জুর করা হয় না কারণ একজন ব্যক্তি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য। কেউই ক্ষমার যোগ্য নয়। ক্ষমা হল প্রেম, করুণা এবং দয়ার দান। ক্ষমা হল অন্য ব্যক্তির বিপক্ষে কিছু ধরে না রাখার সিদ্ধান্ত, যদিও তিনি আপনার বিপক্ষে কিছু করে থাকেন।

বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, আমরা সকলেই ঈশ্বরের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা সকলেই পাপ করি। একলেসিয়েস্টস 7:20 প্রচার করে, “এই পৃথিবীতে কোন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ নেই যিনি সঠিক কাজ করেন এবং কখনও পাপকাজ করেন না”। 1 জন 1:8 বলেন, “আমরা পাপকাজ করি না বলে যদি দাবি করি তাহলে আমরা নিজেদেরকেই প্রতারণা করি এবং আমাদের মধ্যে সত্য বলে আর কিছুই থাকে না”। সকল পাপকাজই শেষপর্যন্ত ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটা বিদ্রোহ হিসাবে কাজ করে (স্লাম 51:4)। তাই আমরা বেপরোয়াভাবে ঈশ্বরের ক্ষমা পেতে চাই। যদি আমাদের পাপকার্যকে ক্ষমা না করা হয়, তাহলে আমরা অনন্তকাল ধরে আমাদের পাপের কারণে দুঃখ কষ্ট ভোগ করে যাব (ম্যাথিউ 25:46; জন 3:36)।

ক্ষমা – কেমন করে আমি পেতে পারি?

সৌভাগ্যবশত, ঈশ্বর প্রেমময় এবং করুণাময় – আমাদের সমস্ত পাপের জন্য আমাদেরকে ক্ষমা করতে ব্যাগ্র! 2 পিটার 3:9 আমাদেরকে বলেন, “...তিনি আপনাদের প্রতি ধৈর্যশীল, কাউকেই ধ্বংস করতে চান না, কিন্তু চান প্রত্যেকেই যেন তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হন”। ঈশ্বর আমাদের ক্ষমা করতে চান, সেইজন্যই তিনি আমাদের ক্ষমা করেন।

আমাদের পাপের একমাত্র শাস্তি মৃত্যু। রোমান-এর 6:23 এর প্রথম অর্ধ প্রচার করে, “পাপের ফল মৃত্যু...” আমাদের পাপকর্মের জন্য অনন্ত মৃত্যুই হল আমাদের প্রাপ্তি। ঈশ্বর তাঁর নিভুর্ল পরিকল্পনায় মানবরুপে – যিশুখ্রিষ্ট হয়ে এসেছিলেন(জন 1:1, 14)। ভগবান যিশু আমাদের শাস্তি নিজের কাঁথে নিয়ে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন যেটা আমাদেরই প্রাপ্য – মৃত্যু। 2 কোরিণথিনায়স 5:21 আমাদেরকে উপদেশ দেয়, “ঈশ্বর ওনাকে সৃষ্টি করেছিলেন যাঁর নিজের কোন পাপ ছিল না আমাদের জন্য পাপী হয়েছিলেন, যাতে ওনার মধ্যে ঈশ্বরের ন্যায়নিষ্ঠাকে আমরা দেখতে পারি”। আমাদের প্রাপ্য শাস্তি মাথায় নিয়ে ভগবান যিশু ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন! ঈশ্বরের হিসাবে ভগবান যিশুর মৃত্যু সমগ্র বিশ্বের পাপকে ক্ষমা করে দিয়ে গেছেন। 1 জন 2:2 প্রচার করে, “তিনি আমাদের পাপকাজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, আর কেবলমাত্র আমাদেরই জন্যে নয়, সারা বিশ্বের পাপকাজের জন্যও বটে”। ভগবান যিশু পাপ এবং মৃত্যুকে জয়ের প্রচার করতে মৃত্যু থেকে উঠে এসেছিলেন(1 কোরিণথিনায়স 15:1-28)। যিশুখীষ্টের মৃত্যু এবং তার সমাধি থেকে উত্থানের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করুন, রোমাণস 6:23 এর দ্বিতীয়ার্ধ সত্যিই, “...কিন্তু ঈশ্বরের দান হল আমাদের প্রভু যিশুখ্রিষ্টের মাধ্যমে শাশ্বত জীবন লাভ”।

আপনি আপনার পাপের ক্ষমাভিক্ষা চান? আপনি কি অপরাধ করার জন্য এমন কোন অস্বস্তির মধ্যে আছেন যার থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারছেন না বলে আপনার মনে হচ্ছে? আপনি আপনার পাপকর্মের জন্য ক্ষমাভিক্ষা লাভ করতে পারেন যদি আপনি যিশুখ্রিষ্টকে আপনার পরিত্রাতার স্থানে বসিয়ে তাঁর প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। এফিসিয়ানস 1:7 বলে, “ওনার মধ্যে ওনার রক্তের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পাপমুক্ত করতে পারি, পাপর্কমের ক্ষমাভিক্ষা, ঈশ্বরের করুণায় ঐশ্বর্য লাভ করতে পারি”। ভগবান যিশু আমাদেরকে ঋনমুক্ত করেন, সুতরাং আমরা তাঁর কাছ থেকে ক্ষমা পেতেই পারি। আপনাকে যা করতে হবে তা হল ঈশ্বরকে বলুন যিশুর মাধ্যমে আপনাকে ক্ষমা করতে। মনে এই বিশ্বাস রাখুন যে ভগবান যিশু আপনাকে ক্ষমা করার জন্য মৃত্যুবরণ করবেন – এবং তিনি আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন! জন 3:16-17 এর মধ্যে এক বিস্ময়কর বার্তা আছে, “ঈশ্বর এই পৃথিবীকে এতটা ভালবেসেছেন যে তিনি তাঁর এক এবং একমাত্র পুত্রকে পাঠিয়েছেন, যারাই তাঁকে বিশ্বাস করবে তারা ধ্বংস হবেন না বরং তারা শাশ্বত জীবন লাভ করবে। ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পৃথিবী ধ্বংস করতে পাঠান নি বরং ওনাকে দিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পাঠিয়েছিলেন”।

ক্ষমা প্রদর্শন – সত্যই কি ততটা সহজ?

হ্যাঁ এটা ততটাই সহজ! আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমাভিক্ষা অর্জন করতে পারবেন না। ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনি ক্ষমাভিক্ষা চাইলে আপনাকে কোনোরকম মূল্য দিতে হবে না। আপনি কেবলমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা, ঈশ্বরের করুণা ও দয়ার মাধ্যমে তা পেতে পারেন। যদি আপনি যিশুখ্রিষ্টকে আপনার পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করতে চান এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমা লাভের আশা করেন, তাহলে এখানের প্রার্থনা আপনি করতে পারেন। এই প্রার্থনা বা অন্য কোন প্রার্থনা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। একমাত্র যিশুখ্রিষ্টের প্রতি বিশ্বাসই পাপকে ক্ষমা করে দিতে পারে। এই প্রার্থনা কেবলমাত্র ঈশ্বরের কাছে তাঁর প্রতি বিশ্বাস এবং আপনাকে ক্ষমা করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর একটা পদ্ধতি। "হে ঈশ্বর, আমি জানি আমি আপনার বিরুদ্ধে পাপ করেছি, এবং আমি শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু যিশুখ্রিষ্ট আমার প্রাপ্য শাস্তি নিজে নিয়েছেন, তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে আমি ক্ষমা পেতে পারি। আমি পরিত্রানের জন্য পাপ কাজ থেকে দূরে সরে আপনার উপর আস্থা রাখি। আপনার বিস্ময়কর করুণা এবং ক্ষমার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! আমেন!”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: যিশুকে আপনার ব্যক্তিগত পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করার মানে কি?

উত্তর:
আপনি কি কখনও যিশুখ্রিষ্টকে আপনার ব্যক্তিগত পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করেছেন? আপনার উত্তর দেবার আগে আমাকে প্রশ্নটা বুঝিয়ে দেবার অনুমতি দিন। এই প্রশ্নটা যথাযথ ভাবে বুঝতে গেলে, প্রথমেই আপনাকে “যিশুখ্রিষ্ট”, “ব্যক্তিগত” এবং “পরিত্রাতা” শব্দগুলি সঠিকভাবে বুঝতে হবে ।

যিশুখ্রিষ্ট কে? বহু লোকেই যিশুখ্রিষ্টকে একজন ভাল লোক, মহান শিক্ষক, অথবা এমনকি একজন ধর্ম প্রবর্তক অথবা ধর্ম প্রচারক বলেও মনে করেন। এই বিষয়গুলি যিশুর সর্ম্পকে অবশ্যই সত্য, কিন্তু তিনি সত্যিই যে কে তা এগুলি থেকে বোঝা যায় না। বাইবেল আমাদেরকে বলে, যে যিশু হচ্ছেন একজন রক্তমাংসের মানুষ, ঈশ্বর মানবদেহ ধারণ করেছেন (জন 1:1,14 দেখুন )। ঈশ্বর পৃথিবীতে এসেছিলেন আমাদেরকে শিক্ষা দিতে, আমাদের কষ্ট দূর করতে, সংশোধন করতে, ক্ষমা করতে, এবং - আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করতে! যিশুখ্রিষ্ট হলেন ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা, সার্বজনীন প্রভু। আপনি কি এই যিশুকে গ্রহণ করেছেন?

একজন পরিত্রাতা কে এবং কেন আমাদের একজন পরিত্রাতার প্রয়োজন আছে? বাইবেল আমাদের বলে যে আমরা সকলেই পাপী, আমরা সকলেই খারাপ কাজ করেছি (রোমানস্ 3:10-18)। আমাদের এই পাপের ফলে, আমরা ঈশ্বরের ক্রোধ এবং বিচারের যোগ্য। একজন অসীম এবং শাশ্বত ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে অনন্তকাল ধরে শাস্তিভোগ (রোমানস্ 6:23; রেভেলেশন 20:11-15)। এই জন্যই আমাদের একজন পরিত্রাতার প্রয়োজন!

যিশুখ্রিষ্ট, পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং আমাদের জন্য এখানে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। যিশুর মৃত্যু, রক্তমাংসে গড়া ঈশ্বরের ন্যায়, আমাদের পাপের এক অসীম প্রায়শ্চিত্ত ছিল (2 কোরিনথিয়ান্স 5:21)। যিশু আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন (রোমানস্ 5:8)।এর মাধ্যমে যিশুই মূল্য দিয়েছিলেন যাতে আমাদেরকে তা দিতে না হয়। মৃত্যু থেকে যিশুর ফিরে আসা প্রমাণ করে যে তাঁর মৃত্যু আমাদের পাপের জন্য পর্যাপ্ত শাস্তি ছিল। সেইজন্য যিশুই হচ্ছেন এক এবং একমাত্র পরিত্রাতা (জন 14:6; বিধান 4:12)! আপনি কি যিশুকে আপনার পরিত্রাতা হিসাবে বিশ্বাস করেন?

যিশু কি আপনার “ব্যক্তিগত” পরিত্রাতা? বহু লোকে খ্রিষ্টধর্মকে গির্জায় উপস্থিত হওয়া, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, এবং কিছু কিছু পাপ কাজ না করা হিসাবে দেখে। এটা খ্রিষ্ট ধর্ম নয়। আসল খ্রিষ্টধর্ম হল যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত সর্ম্পক স্থাপন করা। যিশুকে আপনার ব্যক্তিগত পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করা মানে তাঁর ওপর আপনার নিজের বিশ্বাস এবং আস্থা স্থাপন করা। অপরের বিশ্বাসের দ্বারা কেউই নিরাপদ নয়। কেউই কোন কোন কাজের জন্য ক্ষমা প্রাপ্ত হয় না। বাঁচার একমাত্র পথ হল ব্যক্তিগতভাবে যিশুকে আপনার পরিত্রাতা হিসাবে গ্রহণ করা, এবং তাঁর মৃত্যুকে আপনার পাপের শাস্তির কারণ হিসাবে বিশ্বাস করা এবং তাঁর পুনরুত্থানকে আপনার অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা হিসাবে মনে করা (জন 3:16)। যিশু কি আপনার ব্যক্তিগত পরিত্রাতা?

যদি আপনি যিশুখ্রিষ্টকে আপনার ব্যক্তিগত পরিত্রাতা হিসাবে পেতে চান, তাহলে ঈশ্বরকে কাছে নিম্নলিখিত কথাগুলি বলুন। মনে রাখুন, এই প্রার্থনা বা অন্য কোন প্রার্থনা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। একমাত্র যিশুখ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাসই আপনার পাপকে ক্ষমা করে দিতে পারে। এই প্রার্থনাই হল কেবলমাত্র একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঈশ্বরের প্রতি আপনার বিশ্বাস জানাতে পারেন, এবং আপনাকে ক্ষমা করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। "ঈশ্বর, আমি জানি আমি আপনার বিরুদ্ধে পাপ করেছি, এবং আমি শাস্তি পাবার উপযুক্ত। কিন্তু যিশুখ্রিষ্ট আমার প্রাপ্য শাস্তি নিজে নিয়েছেন এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আমি আমার পাপকার্য থেকে দূরে সরে যেতে পারি এবং উদ্ধারের জন্য আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখি। আপনার বিস্ময়কর করুণা এবং ক্ষমার জন্য – শাশ্বত জীবন দানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! আমেন”!

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: মুক্তির পরিকল্পনা কি?

উত্তর:
আপনি কি ক্ষুধার্থ? দৈহিক ক্ষুধার্থ নয়, কিন্তু জীবনে আরও কিছুর জন্য ক্ষুধা আছে কি? আপনার মনের গভীরে এমন কিছু কি আছে যার জন্য আপনাকে কখনও সন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে না? যদি তাই হয়, তাহলে যিশুই একমাত্র পথ! যিশু বলেছিলেন, “আমিই জীবনের রুটি। যে আমার কাছে আসবে সে কখনও ক্ষুধার্থ হয়ে ফিরে যাবে না, এবং যে আমাকে বিশ্বাস করবে সে কখনও তৃষ্ণার্ত থাকবে না” ( জন 6:35)।

আপনি কি বিভ্রান্ত? আপনার কি এখনও জীবনের পথ বা উদ্দেশ্য খূঁজে পাচ্ছেন না, এমন মনে হয়না? সেটা কি এমন মনে হয় না যে কোন একজন আলোগুলো নিভিয়ে দিয়েছে এবং আপনি সুইচ খুঁজে পাচ্ছেন না? যদি তাই হয়, যিশুই হলেন সেই পথ! যিশু প্রচার করেছিলেন, “আমিই জগতের আলো। যারা আমাকে অনুসরণ করবে তারা কখনও অন্ধকারের পথে হাঁটবে না, কিন্তু তারা জীবনের আলো পাবে” (জন 8:12)।

আপনি কি কখনও অনুভব করেছেন যে আপনি জীবনের মধ্যে বদ্ধ হয়ে পড়েছেন? আপনি কি অনেক দরজায় দরজায় ঘুরে দেখেছেন, তাদের পিছনে কি সবই খালি এবং অর্থহীণ? আপনি কি একটা সম্পূর্ণ জীবনের জন্য প্রবেশপথ খুঁজছেন? যদি তাই হয়, যিশুই হলেন সেই পথ! যিশু প্রচার করেছিলেন, “আমিই প্রবেশ পথ; যারাই আমার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করবে, তারাই রক্ষা পাবে। সে ভিতরে আসবে এবং বাহিরে যাবে এবং চারণ-ভূমি খুঁজে পাবে" (জন 10:9)।

অন্যান্য লোকেরা কি আপনাকে সবসময়ে নিচে নামিয়ে রাখেন? আপনাদের সম্পর্ক কি ধূসর ও শূন্য হয়ে গিয়েছে? এটা কি মনে হয় যে সবাই আপনার কাছ থেকে সুযোগ নেবার চেষ্টা করছে? যদি তাই হয়, তাহলে যিশুই হচ্ছেন পথ! যিশু বলেছিলেন, “আমি একজন ভাল মেষপালক। ভাল মেষপালক মেষদের জন্য তার জীবন দিয়ে দেয়... আমিই একজন ভাল মেষপালক! আমি আমার মেষদের জানি, এবং মেষরাও আমাকে জানে” (জন 10:11, 14)।

আপনি কল্পনা করতে পারেন এই জীবনের পরে কি ঘটে? আপনি কি পচা ও মরচে পড়া জিনিসগুলির জন্য জীবনযাপন করে ক্লান্ত? কোন কোন সময়ে আপনার মনে কি সন্দেহ হয় যে আপনার জীবনের কোন উদ্দেশ্য আছে কি না? আপনার মৃত্যুর পরেও কি আপনি বাঁচতে চান? যদি তাই হয়, তাহলে যিশুই হলেন তার পথ! যিশু প্রচার বলেছিলেন, “আমিই হচ্ছি পুনরুত্থান এবং জীবন। যে আমাকে বিশ্বাস করে, তার মৃত্যু হলেও, সে জীবিত থাকবে; এবং যারা বেঁচে থাকেন এবং আমাকে বিশ্বাস করেন তারা কখনও মরে না” (জন 11:25-26)।

পথ কি? সত্য কি? জীবন কি? যিশু উত্তর দিয়েছিলেন, “আমিই পথ, সত্য, এবং জীবন। কেউই আমাকে ছাড়া পিতার কাছে আসতে পারবে না” (জন 14:6)।

যে ক্ষুধাটা আপনি অনুভব করেন সেটা হল আধ্যাত্মিক ক্ষুধা, এবং তা একমাত্র যিশুই পূরণ করতে পারেন। যিশুই একমাত্র যিনি অন্ধকারকে তুলে দিতে পারেন। যিশুই হলেন একটা পরিতৃপ্ত জীবনের প্রবেশ পথ। আপনি যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, সেই বন্ধু এবং মেষপালকই হলেন যিশু। যিশুই জীবন – এই জগতে এবং তার পরেও। যিশুই মুক্তির পথ!

আপনার ক্ষুধার্ত হওয়ার কারণ, অন্ধকারে হারিয়ে যান বলে মনে করেন তার কারণ, জীবনের মানে খুঁজে না পাওয়ার কারণ, এসবই হল ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য।বাইবেল আমাদেরকে বলে, যে আমরা সকলেই পাপ করেছি, এবং সেইজন্যই আমারা ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি (এক্লেসিয়াসটেস 7:20; রোমানস্ 3:23)। যে ফাঁকা জায়গাটা আপনি আপনার হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করেন তা হল ঈশ্বর আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছেন। ঈশ্বরের সঙ্গে আমরা একটা সম্বন্ধ তৈরী করেছিলাম। আমাদের পাপের কারণের জন্য আমরা সেই সম্বন্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। আরও খারাপ হল, আমাদের পাপ আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছ থেকে অনন্ত কালের জন্য, এই জীবন এবং পরের জীবনেও বিচ্ছিন্ন করে রাখবে (রোমানস্ 6:23; জন 3:36)।

কেমন করে এই সমস্যা দূর হবে? যিশুই পথ! যিশু তাঁর নিজের ওপর আমাদের পাপগুলিকে নিয়ে নিয়েছেন (2 করিন্থিয়ানস্ 5:21)। যিশু আমাদের প্রাপ্য শাস্তি নিজে নিয়ে, আমাদের জায়গায় নিজে মৃত্যুবরণ করেছেন (রোমানস্ 5:8)। পাপ ও মৃত্যুর ওপর তাঁর জয় কে প্রমাণ করে তিনদিন পরে, যিশু মৃত্যু থেকে উঠে এসেছিলেন (রোমানস্ 6:4-5)। কেন তিনি এটা করেছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর যিশু নিজে দিয়েছিলেন, “সে তার বন্ধুদের জন্য নিজের জীবন বিছিয়ে দিচ্ছে, প্রেমে এর থেকে বড় কিছু হয় না” (জন 15:13)। যিশু মৃত্যুবরণ করেছিলেন যাতে আমরা বেঁচে থাকতে পারি। যদি আমরা যিশুকে বিশ্বাস করতে পারি, তাঁর মৃত্যুকে আমাদের পাপের মূল্য হিসাবে বিশ্বাস করতে পারি – তাহলে আমাদের সকল পাপ ক্ষমা প্রাপ্ত হবে এবং তা ধুয়েমুছে যাবে। তখনই আমরা আমাদের ক্ষুধাকে আধ্যাত্মিক ভাবে নিবৃত্ত করতে পারব। আলো জ্বলে উঠবে। আমরা পরিপূর্ণ জীবনে প্রবেশ করতে পারব। আমরা আমাদের আসল ভাল বন্ধু ও ভাল মেষপালককে জানতে পারব। আমরা জানতে পারব যে মৃত্যুর পরেও আমাদের জীবন আছে – যিশুর সঙ্গে স্বর্গে পুনরুত্থানের অনন্ত জীবন!

"ঈশ্বর পৃথিবীকে এতটাই ভালবাসেন যে তিনি তাঁর এক এবং একমাত্র পুত্রকে দিয়ে দিয়েছেন, যাতে যে কেউই তাঁকে বিশ্বাস করবে সে বা তারা কখনোই ধ্বংস হবে না কিন্তু অনন্ত জীবন লাভ করবে" (জন 3:16)।

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: খ্রিষ্টান কি?

উত্তর:
ওয়েবস্টারের অভিধান একজন খ্রিষ্টানকে এই ভাবে বর্ণনা করে , “একজন ব্যক্তি যিনি খ্রিষ্ট হিসাবে যীশুকে বিশ্বাস করেন অথবা যীশুর শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে যে ধর্ম তাকে বিশ্বাস করে”। যেখানে খ্রিষ্টান কি বোঝানো একটা উত্তম প্রারম্ভিক বিষয়, সেখানে বাইবেলের সত্য মতে খ্রিষ্টান হওয়া মানে কি এটা সামান্য কিছু কম হয়ে পড়ে।

খ্রিষ্টান শব্দটি নতুন টেস্টামেন্টে তিন বার ব্যবহার করা হয়েছে (অ্যাক্ট 11:26; অ্যাক্ট 26:28; 1 পিটার 4:16)। যিশুখ্রিষ্টের অনুগামীদের মধ্যে এন্টিওচে-কে সর্বপ্রথম “খ্রিষ্টান” বলা হয়েছিল (অ্যাক্ট 11:26) কারণ তাদের আচরন, কাজকর্ম এবং বক্তৃতা খ্রিষ্টের মতন ছিল। আসলে এটা এন্টিওচের অসুরক্ষিত লোকেদের দ্বারা খ্রিষ্টানদের মজা করার জন্য ব্যবহৃত অবজ্ঞাসূচক ডাকনাম হিসাবে ব্যবহার করা হত। এর আক্ষরিক অর্থ, “খ্রিষ্টের দলের অংশীদার” অথবা এক “খ্রিষ্টের অনুগত অথবা অনুগামী”, যার সঙ্গে ওয়েবস্টারের অভিধানের বর্ণনার সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে।

দুর্ভাগ্যবশত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে “খ্রিষ্টান” শব্দটির গুরুত্ব অনেকটাই হারিয়ে যায় এবং প্রায়ই কোন কোন ব্যক্তির সম্বন্ধে ব্যবহৃত হয় যিনি ধার্মিক অথবা যাঁর মধ্যে যিশুখ্রিষ্টের একজন জন্মগত অনুগামী হওয়া সত্ত্বেও উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ আছে। বহু লোক আছেন যারা যিশুখ্রিষ্টকে বিশ্বাস করেন না অথবা তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন না, তবুও তারা কেবলমাত্র এই কারণে নিজেদেরকে খ্রিষ্টান বলে মনে করেন যে তারা গির্জায় যান বা “খ্রিষ্টান” দেশে বসবাস করেন। কিন্তু গির্জায় যাওয়া, আপনার চেয়ে কম ভাগ্যবানদের সেবা করা, অথবা একজন ভাল মানুষ হওয়া আপনাকে একজন খ্রিষ্টান করে না। যেমন একদা একজন সুসমাচারক বলেছিলেন, “গ্যারেজে গেলেই যেমন একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায় না, সেরকম কোন একজন গির্জায় গেলেই খ্রিষ্টান হয়ে যায় না”। গির্জার একজন সদস্য হয়ে নিয়মিত সেবাকার্যে যোগদান করে, এবং গির্জার কাজকর্মগুলি করে আপনি নিজেকে একজন খ্রিষ্টান তৈরি করতে পারবেন না।

বাইবেল আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে ভাল কাজ করে আমরা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারি না। তিতাস 3:5 আমাদের বলে যে “আমরা যে ন্যায় কাজ করেছি তার জন্য নয়, কিন্তু তাঁর দয়া অনুসারে তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেন, পুর্নজন্ম ধুয়ে ফেলে এবং পবিত্র আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করে”। সুতরাং কোন খ্রিষ্টান হলেন এমনই একজন, যিনি ঈশ্বরের দ্বারা পুনঃজন্মপ্রাপ্ত হয়েছেন (জন 3:3; জন 3:7; 1 পিটার 1:23) এবং যিশুখ্রিষ্টের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা রাখেন। এফিসিয়ান্স 2:8 আমাদেরকে বলে যে “তাঁর দয়ায় এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি রক্ষা পেয়েছেন, এবং সেটা আপনার নিজের জন্যে পান নি; এটাই ঈশ্বরের একটা দান”। একজন সত্যিকারের খ্রিষ্টান এমনই একজন যিনি তাঁর পাপের জন্য অনুতপ্ত এবং একমাত্র যিশুখ্রিষ্টে বিশ্বাস করেন এবং তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। তাদের বিশ্বাস কোন ধর্মকে বা কতকগুলি নৈতিক নিয়মকানুনকে অনুসরণ করে নয়, অথবা করা বা না করার তালিকা ধরে নয়।

একজন প্রকৃত খ্রিষ্টান হলেন তিনিই যিনি যিশুখ্রিষ্টের ব্যক্তিত্বের কাছে তার বিশ্বাস এবং নির্ভরতা অর্পণ করেন এবং ঘটনাটা হল যে তিনি আমাদের পাপের জন্য ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন এবং মৃত্যুকে জয় করার জন্যে এবং যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদেরকে তিনি শাশ্বত জীবন দান করতে তিনদিন পরে পুনরায় জেগে উঠেছিলেন । জন 1:12 আমাদের বলে: “কিস্তু যত বেশি লোকে তাঁকে গ্রহণ করবে, তত বেশি লোককে তিনি ঈশ্বরের সন্তানের অধিকার দেবেন”। একজন সত্যিকারের খ্রিষ্টান প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরেই সন্তান, ঈশ্বরের সত্যিকারের পরিবারের একজন সদস্য, এবং যাকে খ্রিষ্টের মধ্যে এক নতুন জীবন দান করা হয়েছে। একজন সত্যিকারের খ্রিষ্টানের চিহ্ণ হল অপরের প্রতি প্রেম এবং ঈশ্বরের কথার প্রতি বাধ্যতা (1 জন 2:4; 1 জন 2:10)।

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: পুনরায় খ্রীষ্টান হিসেবে জন্মলাভ করার অর্খ কি?

উত্তর:
পুনরায় খ্রীষ্টান হিসেবে জন্মলাভ করার অর্খ কি? বাইবেলের প্রাচীন অনুচ্ছেদ জন 3 :1-21 এ এই প্রশ্নের উত্তর আছে, প্রভূ যীশু খ্রীষ্ট নিকোডেমাস, একজন বিশিষ্ট ফারিসী এবং স্যানহেড্রিনের সদস্যের (জিউসের একজন শাসক) সাথে কথা বলছেন৷ নিকোডেমাস এক রাতে যীশুর কাছে এসেছিলেন৷ নিকোডেমাসের অনেকগুলি প্রশ্ন ছিল প্রভূ যীশুকে জিজ্ঞাসা করার জন্য৷

যখন যীশু নিকোডেমাসের সাথে কথা বললেন, তিন পুনরায় বললেন, “আমি তোমায় সত্য বলছি, কেউই ভগবানের রাজ্য দেখতে পায় না যতক্ষণ না তার আবার জন্ম হচ্ছে৷” নিকোডেমাস জিজ্ঞাসা করল, “একজন মানুষ বৃদ্ধ হলে কিভাবে আবার জন্মগ্রহণ করতে পারে?” “কেউ কথনোই দ্বিতীয়বারের জন্য মায়ের গর্ভে প্রবেশ করে জন্মলাভ করতে পারে না!” প্রভূ যীশু বললেন, “আমি তোমাকে সত্যি বলছি, কেউই জল এবং আত্মার মাধ্যমে পুনরায় জন্মগ্রহণ না করে ভগবানের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না৷ মানুষ থেকে মানুষের জন্ম, কিন্তু আত্মা থেকেই আত্মার জন্ম৷ আমার কথায় আশ্চর্য হয়ো না, ‘তোমাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করতেই হবে’” (জন 3:3-7)৷

“পুনরায় জন্মলাভ” উক্তিটির আক্ষরিক অর্থ হল “ওপর থেকে জন্ম”৷ নিকোডেমাসের প্রয়োজন ছিল গুরুত্বপূর্ণ৷ তার হৃদয় পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল – একটি আধ্যাত্মিক পরিবর্তন৷ নব জন্ম, পুনরায় জন্মলাভ, হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে সেই ব্যক্তিকে শাশ্বত জীবন দেওয়া হয় যার আস্থা আছে (2 কোরিন্থিয়ানস 5:17; টাইটাস 3:5; 1 পিটার 1:3; 1 জন 2:29; 3:9; 4:7; 5:1-4, 18) জন 1:12, 13 নির্দেশ করে যে, “পুনরায় জন্মলাভ” সেই ধারণাও বহণ করে “ভগবানের সন্তান হয়ে ওঠা” সম্ভব শুধুমাত্র প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের ওপর আস্থাশীল হওয়ার দ্বারা হতে পারে৷

একটি প্রশ্ন ন্যায়সঙ্গতভাবে আসে, “কেন একজন মানুষের পুনরায় জন্মলাভ প্রয়োজন?” এফেনসিয়ানস 2:1 এ আপোস্টল পল বলেন, “যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং পাপ করে মৃত, ভগবান তাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন....” (NKJV)৷ রোমানস 3:23 এ রোমানসকে আপোস্টল লিখেছিলেন, “প্রতিটি কৃত পাপের জন্য ভগবানের মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়৷” তাই একজন ব্যক্তির পাপমুক্তির জন্য এবং ভগবানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পুনরায় জন্মগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়৷

এটি কিভাবে সম্ভব হবে? এফেসিয়ানস 2:8-9 বলে, “আস্থার মাধ্যমে ভগবানের কৃপালাভ করে তুমি মুক্তি পাবে – এবং এটি ভগবানের উপহার, কর্মের দ্বারা প্রাপ্ত নয়, তাই কেউ দম্ভ করতে পারে না৷” যখন একজন্ “মুক্ত” হয়, তখন সে পুনরায় জন্মলাভ করে, আধ্যাত্মিকভাবে নতুনরূপে, এবং নবজন্মের অধিকারের ফলে ভগবানের সন্তান হিসেবে৷ পাপের দণ্ড ভোগ করতে যিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেই প্রভূ খ্রীষ্টের ওপর আস্থা রাখলেই আধ্যাত্মিকভাবে “পুনরায় জন্মলাভ” সম্ভব৷ “তাই, যদি কেই থ্রীষ্টে বিশ্বাসী হয় তবে সেই হবে নতুন সৃষ্টি : পুরনো চলে গেছে, নতুন এসেছে!” (2 কোরিন্থিয়ানস 5:17)৷

তুমি যদি মুক্তিদাতা হিসেবে প্রভূ যীশু থ্রীষ্টকে বিশ্বাস না কর, তবে যখন ভগবান তোমার হৃদয়ের সাথে কথা বলবেন তখন কি তাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা প্রদত্ত বলে মনে করবে? তোমার পুনরায় জন্মলাভ প্রয়োজন৷ তুমি কি অনুশোচনার জন্য প্রার্থনা করবে এবং আজ প্রভূ খ্রীষ্টের নতুন স়ৃষ্টি হয়ে উঠবে? “প্রত্যেকে যারা তাঁকে গ্রহণ করেছে, প্রত্যেকে যারা তাঁর ওপর বিশ্বাসী, তাদের তিনি ভগবানের সন্তান হয়ে ওঠার অধিকার দেন – সন্তান প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বা মানুষের সিদ্ধান্তে বা স্বামীর ইচ্ছায় জন্মগ্রহণ করে না, জন্মগ্রহণ করে ভগবানের ইচ্ছায়” (জন 1:12-13)৷

যদি তুমি প্রভূ যীশু থ্রীষ্টকে নিজের মুক্তিদাতা রূপে গ্রহণ করতে চাও এবং পুনরায় জন্মলাভ করতে চাও, তবে এখানে দেওয়া হল একটি আদর্শ প্রার্থনা৷ মনে রেখো শুধু এই প্রার্থনা বা অন্য কোনো প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তুমি মুক্তি পাবে না৷ শুধুমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস থাকলেই তুমি পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারো৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন!

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: চারটি আধ্যাত্মিক নীতি কি কি?

উত্তর:
এই চারটি আধ্যাত্মিক নীতি হল মুক্তিলাভ করার সুসংবাদের পন্থা যা কিনা প্রভূ যীশু থ্রীষ্টের ওপর আস্থা থাকলে অর্জন করা যায়৷ এটি হল গসপেলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলিকে চারটি ভাগে বিন্যস্ত করার একটি সহজ উপায়৷

এই চারটি আধ্যাত্মিক নীতির প্রথম নীতিটি হল - “ভগবান তোমাকে ভালোবাসেন এবং তাঁর কাছে একটি সুন্দর পরিকল্পনা আছে তোমার জীবনের জন্য৷” জন 3:16 আমাদের বলেন, “প্রভূ এই পৃথিবীকে এতটাই ভালোবাসেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, কারণ যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের যেন ধ্বংস না হয় এবং তারা যেন শাশ্বত জীবন লাভ করে৷” জন 10:10 আমাদের সেই কারণ বলেছেন যার জন্য ভগবান যীশুর এই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল, “আমি এই পৃথিবীতে এসেছি যাতে প্রতিটি মানুষ পূর্ণভাবে তাদের জীবন লাভ করে৷” ভগবানের ভালোবাসা পাওয়া থেকে কি আমাদের প্রতিহত করছে? কি আমাদের পরম প্রাচুর্যপূর্ণ জীবন পাওয়া থেকে প্রতিহত করছে?

এই চারটি আধ্যাত্মিক নীতির দ্বিতীয় নীতিটি হল - “মানবতা পাপের দ্বারা কলঙ্কিত এং তাই ভগবানের থেকে বিচ্ছিন্ন৷ আর এর ফলস্বরূপ আমরা আমাদের জীবনের জন্য ভগবানের অপূর্ব পরিকল্পনা জানতে পারি না৷” রোমানস 3:23 এই তথ্যকে সমর্থন করে, “প্রতিটি কৃত পাপের জন্য প্রভূর মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়৷” রোমানস 6:23 আমাদের পাপের পরিণতি জানায়, “পাপে রত হওয়া মানে মৃত্যু৷” প্রভূ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণের জন্য৷ যদিও, মানবতাই পৃথিবীতে পাপ এনেছিল, এবং তাই ভগবানের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল৷ ভগবান তাঁর সাথে আমাদের যে সম্পর্কের পরিকল্পনা করেছিলেন, তা আমরা ধ্বংস করেছি৷ এর সমাধান কি?

চারটি আধ্যাত্মিক নীতির তৃতীয় নীতিটি হল, “যীশু খ্রীষ্ট হলেন আমাদের পাপের একমাত্র প্রতিবিধান৷ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা পেতে পারি এবং ভগবানের সাথে সঠিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে পারি৷” রোমানস 5:8 আমাদের বলে, “কিন্তু ভগবান এখানে আমাদের জন্য তাঁর করুণা প্রদর্শন করেন : তাও যখন আমরা পাপী ছিলাম, প্রভূ খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন৷” 1 কোরিন্থিয়ানস 15:3-4 আমাদের যা জানিয়েছে তা জানা এবং মুক্তিলাভ করতে তার ওপর বিশ্বাস রাখা প্রয়োজনীয়, “...স্ক্রিপচারসের মত অনুযায়ী যীশু খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং স্ক্রিপচারসের মত অনুযায়ী মৃত্যুর তৃতীয় দিনে কবর থেকে তাঁর পুনরুত্থান ঘটে...” জন 14:6 এ যীশু খ্রীষ্ট নিজে ঘোষণা করেছেন যে তিনিই একমাত্র মুক্তিলাভের উপায়, “আমিই পথ এবং সত্য এবং জীবন৷ আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে পৌঁছাতে পারে না৷” আমি কিভাবে মুক্তির এই অপূর্ব উপহার পেতে পারি ?

চারটি আধ্যাত্মিক নীতির চতুর্থ নীতিটি হল – “মুক্তিদাতা হিসেবে যীশু খ্রীষ্টের ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যাতে আমরা মুক্তিলাভের উপহার অর্জন করতে পারি এবং আমাদের জীবনের জন্য ভগবানের অপূর্ব পরিকল্পনা জানতে পারি৷” জন 1:12 আমাদের জন্য এটি বর্ণনা করেছেন, “প্রত্যেকে যারা তাঁকে গ্রহণ করেছে, যারা তাঁর নামে বিশ্বাসী, তাদের তিনি প্রভূর সন্তান হয়ে ওঠার অধিকার দেন৷” য়্যাক্টস 16:31 খুব পরিষ্কারভাবে বলে, “প্রভূ যীশুর ওপর আস্থা রাখ, এবং তিনিই তোমায় রক্ষা করবেন!” আমরা যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস রাখলে তবেই ভগবানের আশীর্বাদ পেতে পারি যা আমাদের রক্ষা করবে৷ (এফেনসিয়ানস 2:8-9)৷

যদি তুমি রক্ষাকর্তা হিসেবে যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করতে চাও তবে ভগবানের উদ্দেশ্যে এই শব্দগুলি বল৷ শুধুমাত্র এই শব্দগুলি তোমাকে রক্ষা করবে না, কিন্তু খ্রীষ্টের ওপর আস্থা তোমাকে রক্ষা করবে৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন !”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: আমি কিভাবে ভগবানের সাথে ন্যায় অর্জন করতে পারি?

উত্তর:
ভগবানের সাথে “ন্যায়” অর্জনের আগে আমাদের বুঝতে হবে “অন্যায়” কি৷ উত্তর হল পাপ৷ “কেউ নেই যে ভালো করছে, একজনও নেই” (স্লাম 14:3)৷ আমরা ভগবানের আদেশের বিরোধীতা করেছি; আমরা “ভেড়ার মত বিপথে গমন করেছি” (ইশা 53:6)৷

দুঃসংবাদ হল এই যে পাপের দণ্ড হল মৃত্যু৷ “যে আত্মা পাপ করে সেই মৃত্যু লাভ করে” (এজেকিয়েল 18:4)৷ সুখবর এই যে ভালোবাসাপূর্ণ ভগবান বিরুদ্ধাচরণ করেছেন আমাদের মুক্তি দিতে৷ যীশু ঘোষণা করেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, “যা হারিয়ে গেছে তা পাওয়া এবং রক্ষা করা” (লিউক 19:10), এবং তিনি ঘোষণা করেছেন তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছিল যখন তিনি নিজের বাণীর সাথে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেন, “এটি সমাপ্ত হল !” (জন 19:30)৷

ভগবানের সাথে সঠিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য নিজের পাপ স্বীকার করা প্রয়োজনীয়৷ পরবর্তী আসে ভগবানের কাছে তোমার পাপের একটি বিনীত স্বীকারোক্তি এবং দৃঢ়ভাবে পাপকে পরিত্যাগ করা৷ “তার জন্য তুমি হৃদয় দিয়ে যা বিশ্বাস কর তা ন্যায় এবং মুখ দিয়ে যা স্বীকার কর তার জন্য রক্ষা পাওয়া” (রোমানস 10:10)৷

এই অনুশোচনা অবশ্যই বিশ্বাসের সাথে করতে হবে, নির্দিষ্টভাবে, সেই বিশ্বাস যে যীশুর ত্যাগজনিত মৃত্যু এবং অলৌকিক পুনরাবির্ভাব তাঁকে মুক্তিদাতা হিসেবে গুণান্বিত করে৷ “তুমি যদি নিজের মুখে স্বীকার কর যে, ‘যীশু হলেন প্রভূ’ এবং মন থেকে বিশ্বাস কর ভগবান মৃত্যু থেকে তাঁর উত্তরণ ঘটিয়েছেন, তবে তুমি রক্ষা পাবে” (রোমানস 10:9)৷ আরো অনেক অনুচ্ছেদ বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে, যেমন জন 20:27; য়্যাক্টস 16:31; গ্যালাটিয়ানস 2:16; 3:11,26; এবং এফেসিয়ানস 2:8৷

ভগবানের সাথে থাকলে তোমার প্রতিক্রিয়ার বিষয় হবে যে তিনি তোমার হয়ে কি করেছেন৷ তিনি মুক্তিদাতাকে পাঠিয়েছেন, তিনি তোমার পাপ হরণ করার জন্য ত্যাগের পথ প্রদান করেছেন, (জন 1:29), এবং তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন : “প্রত্যেকে যারা প্রভূর কাছে নিবেদন করবে তারা মুক্তি পাবে” (য়্যাক্টস 2:21)৷

ক্ষমাশীলতা এবং অনুশোচনার একটি সুন্দর ব্যাখ্যা হল অপচয়ী পুত্রের রূপক কাহিনী (লিউক 15:11-32)৷ এক কনিষ্ঠ পুত্র তার পিতার দেওয়া উপহার লজ্জাজনক পাপে নষ্ট করে (ভার্স 13)৷ যখন সে নিজের ভুল বুঝতে পারে, তখন বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় (ভার্স 18)৷ সে ভাবে যে সে আর পুত্র হিসেবে বিবেচ্য হবে না (ভার্স 19)৷ কিন্তু সে ভুল ভেবেছিল৷ পিতা তার বিদ্রোহী পুত্রকে আগের মতই ভালোবাসলেন (ভার্স 20)৷ সব ত্রুটি ক্ষমা করা হল এবং উত্সব হল (ভার্স 24)৷ ভগবান তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন, এমনকি ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতিও৷ “প্রভূ ভগ্নহৃদয় মানুষের পাশে থাকেন এবং তাদের রক্ষা করেন যাদের আত্মা বা মন ভেঙে গেছে” (স্মাম 34:18) ৷

যদি তুমি প্রভূ ভগবানের সাথে ন্যায় অর্জন করতে চাও, তবে এখানে দেওয়া হল একটি আদর্শ প্রার্থনা৷ মনে রেখো শুধু এই প্রার্থনা বা অন্য কোনো প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তুমি মুক্তি পাবে না৷ শুধুমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস থাকলেই তুমি পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারো৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন!

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: প্রভূ যীশুই কি স্বর্গে পৌঁছানোর একমাত্র পথ?

উত্তর:
“আমি আসলে একজন ভালো মানুষ, তাই আমি স্বর্গে যাব|” “ঠিক, তাই আমি কিছু খারাপ কাজ করি, কিন্তু আমি বেশ কিছু ভালো কাজও করি, তাই আমি স্বর্গে যাব|” “আমি বাইবেলের নির্দেশ অনুযায়ী চলি না শুধুমাত্র সেই কারণে ভগবান আমাকে নরকে পাঠাবেন না| সময় পাল্টে গেছে| “শুধুমাত্র খুব খারাপ মানুষ যারা শিশু উত্পীড়ক এবং খুনী তারাই শুধু নরকে যায়|”

এগুলি হল সব সাধারণ ধারণা, কিন্তু সত্যিটা হল যে এগুলি সব মিথ্যে| শয়তান, পৃথিবীর শাসক, আমাদের মস্তিষ্কে এই সকল ধারণা বপন করেছে| সে, এবং যারা তার পথ অনুসরণ করে, তারা ভগবানের শত্রু (1 পিটার 5:8)| শয়তান হল প্রবঞ্চক এবং বেশীরভাগ সময়েই নিজে ভালো মানুষের ভান করে (2 কোরিন্থিয়ানস্ 11:14), কিন্তু যাদের ভগবানের ওপর আস্থা নেই তাদের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ আছে| “আজকের যুগের ভগবান, অবিশ্বাসীদের মনকে অন্ধ করে রেখেছে, তাই তারা প্রভূ যীশুর মহিমার গসপেলের আলো দেখতে পায়না, যিনি ভগবানেরই প্রতিচ্ছবি” (2 কোরিন্থিয়ানস্ 4 :4) |

এইটি একটি অবিশ্বাস্য মিথ্যে যে ভগবান ছোট পাপের ব্যাপারে খেয়াল করেন না অথবা নরক শুধুমাত্র “খারাপ মানুষদের” জন্য সংরক্ষিত| “সমস্ত পাপ আমাদের ভগবানের থেকে আলাদা করে দেয়, এমনকি একটি “ছোট সাধারণ মিথ্যে|” প্রত্যেকেই পাপ করে থাকে, এবং কেউই এত ভালো নয় যে তারা নিজেরাই স্বর্গে পৌঁছে যাবে (রোমানস 3:23)| আমাদের ভালো গুণগুলি আমাদের খারাপ বৈশিষ্ট্যকে ছাপিয়ে গেলেই আমরা স্বর্গে পৌঁছাতে পারি না, যদি সেটা আসল ঘটনা হত তাহলে আমরা সকলেই তা হারাতাম| “এবং যদি কৃপার দ্বারা হয়, তবুও এটি কার্যের দ্বারা নয়; যদি এমন হত তাহলে কৃপা আর কৃপা থাকতনা” (রোমানস 11:6)| আমরা স্বর্গের পথ তৈরি করতে কোনো ভালো কিছু করতে পারি না (টাইটাস 3:5 )|

“ছোট প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ কর| যেখানে প্রবেশদ্বার চওড়া এবং পথ প্রশস্ত সেটা আমাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়, এবং বেশিরভাগ মানুষই সেখান দিয়ে প্রবেশ করে” (ম্যাথিউ 7:13)| এমনকি যদি প্রতিটি মানুষ যারা এমন পরিবেশে বসবাস করে যেখানে পাপ করাই প্রথা এবং ভগবানে বিশ্বাস করার প্রথা নেই, সেখানেও ভগবান তা ক্ষমা করবেন না| “তাই তোমার জন্য, তুমি তোমার পাপের জন্য মৃত, যেখানে তুমি বাস করতে যখন তুমি এই পৃথিবীর পথগুলি অনুসরণ করেছ এবং বায়ুর রাজত্বের শাসকের দ্বারা, সেই আত্মা যারা অবাধ্য এখন তাদের জন্য কাজ করে” (এফেসিয়ানস 2 : 1-2)|

ভগবান যখন এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তখন পৃথিবী ছিল উত্কৃষ্ট এবং ভালো| তারপর তিনি সৃষ্টি করলেন আদম এবং ইভকে এবং তাদের দিলেন নিজস্ব স্বাধীন ইচ্ছা, তাই তাদের কাছে পছন্দ করার ক্ষমতা ছিল যে তারা ভগবানকে অনুসরণ এবং মান্য করবে কিনা| কিন্তু তারা শয়তানের দ্বারা প্রলুব্ধ হল ভগবানকে অমান্য করতে, এবং পাপ কাজ করতে| এটি তাদের বিচ্ছিন্ন্ করে দিল (এবং প্রত্যেকে যারা তাদের পরে এসেছে, তার মধ্যে আমরাও) ভগবানের সাথে নিকট সম্পর্ক স্থাপন করতে| তিনি উত্কৃষ্ট এবং পবিত্র এবং অবশ্যই পাপের বিচারক| পাপীদের মত, আমরা কথনোই ভগবানের সাথে পুনরায় নিজেদের সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতাম না| তাই ভগবান এমন একটি পথ তৈরি করেছেন যার দ্বারা আমরা তাঁর সাথে স্বর্গে একত্রিত হতে পারতাম| “তাই এমন পৃথিবী যাকে ভগবান ভালোবাসেন সেখানে তিনি নিজের একমাত্র পুত্রকে পাঠিয়েছেন যাতে যারা ভগবানে বিশ্বাস করে তারা কখনোই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে না এবং শাশ্বত জীবন লাভ করবে” (জন 3:16)| “পাপের ফল হল মৃত্যু, কিন্তু প্রভূ যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী মানুষদের জন্য ভগবানের অমূল্য উপহার হল শাশ্বত জীবন” (রোমানস 6:23)| যীশু জন্মলাভ করেছেন আমাদের পাপের জন্য মৃত্যু বরণ করতে যাতে আমাদের তার ফল ভোগ করতে না হয়| তাঁর মৃত্যুর তিন দিন পরে তিনি পুনরায় নিজের কবর থেকে উঠে আসেন (রোমানস 4:25), নিজেকে মৃত্যুর বিরুদ্ধে জয়ী প্রমাণ করতে| তিনি ভগবান এবং মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন করেন যাতে আমরা যারা ভগবানে বিশ্বাসী তারা ভগবানের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে পারি|

“এখন এটি শাশ্বত জীবন : যে তারা হয়ত আপনাকে জানেন, একমাত্র আসল ভগবান, এবং যীশু খ্রীষ্ট, যাঁকে আপনি পাঠিয়েছেন” (জন 17:3)| বেশিরভাগ মানুষই ভগবানে বিশ্বাসী, এমনকি শয়তানও | কিন্তু মুক্তি পেতে হলে, আমাদের অবশ্যই ব্যক্তিগত সম্পর্কের থেকে ভগবানের দিকে ফিরতে হবে, পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে, এবং তাঁকে অনুসরণ করতে হবে| আমাদের যা আছে এবং আমরা যা করি সব বিষয়েই আমাদের যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে| “ভগবানের এই ন্যায়পরায়ণতা যীশু খ্রীষ্টের ওপর আস্থা থেকেই সকলের মধ্যে আসবে যারা বিশ্বাসী| এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই” (রোমানস 3:22)| বাইবেল আমাদের শেখায় যে খ্রীষ্ট ছাড়া মুক্তির আর কোনো পথ নেই| যীশু জন 14:6 এ বলেছেন, “আমিই পথ, সত্য এবং জীবন| কেউ আমাকে ছাড়া পিতার কাছে পৌঁছাতে পারে না|”

যীশুই হলেন মুক্তির একমাত্র পথ কারণ তিনিই একমাত্র যিনি আমাদের পাপের দণ্ড ভোগ করেন (রোমানস 6:23)| অন্য কোনো ধর্মই আমাদের পাপের গভীরতা এবং গুরুত্ব এবং তার পরিণতি আমাদের শেখায় না| অন্য কোনো ধর্মই আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করায় না যা কিনা যীশু খ্রীষ্ট আমাদের প্রদান করেন| অন্য কোনো “ধার্মিক প্রতিষ্ঠাতা” এমন নন যেখানে ভগবানই মানুষে পরিণত (জন 1:1, 14) – একমাত্র পথ যার দ্বারা অসীম ঋণ শোধ করা যায়| যীশুই ভগবান হয়েছেন যাতে তিনি আমাদের পাপের ঋণ শোধ করতে পারেন| যীশুকে আবার মানুষ হতে হয়েছে যাতে তিনি মৃত্যু বরণ করতে পারেন| শুধুমাত্র যীশু খ্রীষ্টের ওপর আস্থা থাকলেই মানুষ মুক্তি পেতে পারে| “মুক্তি আর কারো মধ্যেই পাওয়া যায় না, এর জন্য স্বর্গের নীচে আর অন্য কোনো নাম মানুষের কাছে নেই যার দ্বারা আমরা রক্ষা পেতে পারি” (য়্যাক্টস্ 4 : 12)|

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: আমি কিভাবে নিশ্চিত হব যে মৃত্যুর পর আমি স্বর্গলাভ করব?

উত্তর:
তুমি কি নিশ্চিতভাবে জান যে তুমি শাশ্বত জীবন পেয়েছ এবং মৃত্যুর পর স্বর্গলাভ করবে ? প্রভূ তোমাকে নিশ্চিন্ত করতে চান! বাইবেলে আছে : “আমি এইসব তাদের উদ্দেশ্যে লিখি যারা ভগবানের পুত্রের ওপর আস্থা রাখে এবং যাতে তোমরা বুঝতে পারো যে তোমরা শাশ্বত জীবন লাভ করবে” (1 জন 5:13)৷ মনে কর তুমি এই মুহূর্তে ভগবানের সামনে দাঁড়িয়ে আছ এবং তিনি তোমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কেন তোমায় স্বর্গে প্রবেশ করতে দেব?” তুমি কি বলবে? তুমি হয়ত জান না কি উত্তর দেবে৷ ৷আমাদের যা জানতে হবে তা হল, ভগবান আমাদের ভালোবাসেন এবং সেই পথ প্রদান করেছেন যার সাহায্যে আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি কোথায় আমরা অমরত্ব পাব৷ বাইবেলে এইভাবে বলা আছে : “ভগবান এই পৃথিবীকে ভালোবাসেন এবং আর তাই তিনি নিজের একমাত্র পুত্রকে পাঠিয়েছেন, তাই যারা তাঁর ওপর আস্থা রাথে তাদের ধ্বংস হবে না এবং তারা শাশ্বত জীবন লাভ করবে” (জন 3:16)৷

সবার প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে কোন্ সমস্যার জন্য আমরা স্বর্গলাভ থেকে দূরে সরে যাই৷ সমস্যাটি হল – আমাদের পাপপূর্ণ চরিত্র ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক স্থাপনে বাধা দেয়৷ আমরা চরিত্রগতভাবে এবং নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী পাপী৷ “প্রতিটি কৃত পাপের জন্য প্রভূর মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়” (রোমানস 3:23)৷ আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি না৷ “বিশ্বাসের দ্বারা ভগবানের কৃপায় তুমি রক্ষা পাবে, এবং এটি তোমার নিজের নয় – এটি ভগবানের উপহার৷ কাজের মাধ্যমে নয়, তাই কেউ দম্ভ করতে পারে না” (এফেনসিয়ানস 2:8-9)৷ আমরা মৃত্যু এবং নরকলাভের যোগ্য৷ “পাপের ফলস্বরূপ মৃত্যু” (রোমানস 6:23)৷

ভগবান পবিত্র এবং তাই অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন, যদিও তিনি আমাদের ভালোবাসেন এবং তাই আমাদের পাপ থেকে ক্ষমালাভের পথ প্রদান করেছেন৷ প্রভূ যীশু বলেন - “আমিই পথ, এবং সত্য, এবং জীবন৷ আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে পৌঁছাতে পারে না” (জন 14:6)৷ যীশু আমাদের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন : “একদা সকলের পাপের জন্য যীশু মৃত্যু বরণ করেছেন, অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়ের স্থাপনা করে আমাদের ভগবানের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন” (1 পিটার 3:18)৷ যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুজ্জীবিত হন : “আমাদের পাপের জন্য তিনি মৃত্যু বরণ করেন এবং আমাদের পাপমুক্তির জন্য পুনরায় জীবনে উত্তরণ করেন” (রোমানস 4:25)৷

তবে এবার আসল প্রশ্নে ফিরে যাওয়া যাক - “আমি কিভাবে নিশ্চিত হব যে মৃত্যুর পর আমি স্বর্গলাভ করব?” উত্তরটি হল – প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের ওপর আস্থা রাখ তাহলেই তুমি মুক্তিলাভ করবে (য়্যাক্টস 16:31)৷ “প্রত্যেকে যারা তাঁকে গ্রহণ করেছে, প্রত্যেকে যারা তাঁর ওপর আস্থা রাখে, তিনি তাদের ভগবানের সন্তান হয়ে ওঠার অধিকার দেন” (জন 1:12)৷ তুমি বিনামূল্যে শাশ্বত জীবনের উপহার পেতে পার৷ “ভগবানের উপহার হল প্রভূ যীশুর মাধ্যমে শাশ্বত জীবন লাভ” (রোমানস 6:23)৷ তুমি এখনই একটি সম্পূর্ণ এবং অর্থপূর্ণ জীবন কাটাতে পার৷ যীশু বলেছেন : “আমি এসেছি যাতে তারা জীবন পেতে পারে, এবং তা সম্পূর্ণরূপে পেতে পারে” (জন 10:10)৷ তুমি প্রভূ যীশুর সাথে স্বর্গে অমরত্ব লাভ করতে পার, যা তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন : “যদি আমি যাই এবং তোমার জন্য স্থান তৈরি করি, তবে আমি ফিরে আসব এবং তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাব যাতে আমি যেখানে আছি তুমিও সেখানে থাকতে পার” (জন 14:3)৷

যদি তুমি যীশু খ্রীষ্টকে তোমার মুক্তিদাতা হিসেবে গ্রহণ কর এবং ভগবানের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে চাও, তবে এখানে দেওয়া হল একটি প্রার্থনা যা তুমি উচ্চারণ করতে পার৷ মনে রেখো শুধু এই প্রার্থনা বা অন্য কোনো প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তুমি মুক্তি পাবে না৷ শুধুমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস থাকলেই তুমি পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারো৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন !”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: মৃত্যুর পরেও কোনো জীবন আছে কি?

উত্তর:
মৃত্যুর পরেও কোনো জীবন আছে কি? বাইবেলে আছে, “পুরুষ নারী থেকে জন্মলাভ করে কিছুদিনের জন্য এবং অনেক সমস্যা নিয়ে৷ সে ফুলের মত ফুটে ওঠে আবার শুকিয়ে যায়; চলন্ত ছায়ার মত, সে স্থায়ী হয় না.... যদি একজন মানুষ মারা যায়, সে কি আবার বেঁচে ওঠে” (জন 14:1-2,14) ?

জবের মত আমাদের প্রত্যেককেই এই প্রশ্নের সম্মুখীণ হতে হয়৷ আমাদের মৃত্যু হওয়ার পর আমাদের সাথে ঠিক কি হয়? আমাদের অস্তিত্ব কি স্তব্ধ হয়ে যায়? তাহলে জীবন কি ব্যক্তিগত মহত্ব অর্জন করার জন্য একটি ঘূর্ণায়মান দরজা যার সাহায্যে আমরা পৃথিবী থেকে চলে যাই এবং আবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসি? মৃত্যুর পরে আমরা প্রত্যেকে কি একই স্থানে যাই, নাকি বিভিন্ন স্থানে যাই? সত্যিই কি কোথাও স্বর্গ বা নরক বলে কিছু আছে, নাকি সবই আমাদের মনের অবস্থা?

বাইবেলে আছে যে, মৃত্যুর পরে শুধুমাত্র জীবনই নেই, এমন এক শাশ্বত জীবন আছে যা এতটাই মহিমান্বিত যে “কোনো চোখ তা দেখতে পায় না, কোনো কান তা শুনতে পায় না, এবং কোনো মন সেটা ধারণা করতে পারে না যে ভগবান যাদের ভালোবাসেন তাদের জন্য কি নির্মাণ করে রেখেছেন” (1 কোরিন্থিয়ানস 2:9)৷ প্রভূ যীশু খ্রীষ্ট, যিনি মানুষের বেশে ভগবান, এই পৃথিবীতে এসেছেন আমাদের এই শাশ্বত জীবনের উপহার দিতে৷ “কিন্তু তাকে আমাদের পাপের জন্য ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে, আমাদের অন্যায়ের জন্য তাঁকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে; যে শাস্তি আমাদের জন্য শান্তি এনে দিয়েছে তা তাঁকে পেতে হয়েছে, এবং তাঁর ক্ষতের দ্বারা আমরা আরোগ্য লাভ করেছি” (ইশা 53:5)৷

প্রভূ যীশু থ্রীষ্ট নিজের জীবন উত্সর্গ করেছেন এবং সেই শাস্তি ভোগ করেছেন যা আমাদের পাওয়ার কথা৷ তিনদিন পর তিনি যখন কবর থেকে উঠে এসেছেন তখন তিনি মৃত্যুর ওপর নিজের জয় প্রমাণ করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে তিনিই আত্মা এবং মানবের মিলিত রূপ৷ তিনি স্বর্গে নিজের শাশ্বত গৃহে ফিরে যাওয়ার আগে চল্লিশ দিন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে ছিলেন এবং হাজার হাজার মানুষ তাঁকে নিজেদের চোখে দেখেছে৷ রোমানস 4:25 বলে, “তিনি মৃত্যু বরণ করেছিলেন আমাদের পাপের জন্য, এবং তাঁর উত্তরণ ঘটেছিল আমাদের মুক্তি দিতে৷”

প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের পুনরাবির্ভাব হল একটি প্রমানিত ঘটনা৷ আপোস্টল পল সেই মানুষদের এই ঘটনার বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে যারা নিজেদের চোখে এটি দেখেছেন, এবং কেউই এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেনি৷ এই পুনরাবির্ভাব হল খ্রীষ্টানদের বিশ্বাসের স্তম্ভ; কারণ প্রভূ খ্রীষ্টর যেরকম মৃত্যুর থেকে পুনরাবির্ভাব ঘটেছে, তেমন আমরাও পুনরাবির্ভূত হতে পারব৷

পল পূর্বের কিছু খ্রীষ্টানদের মৃদুভাবে ভর্ত্সনা করেছেন যারা এই ঘটনা বিশ্বাস করেনি : “কিন্তু যদি এই ধর্মোপদেশ দেওয়া হয় যে প্রভূ খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে উত্তরণ ঘটেছিল, তবে কেউ কেউ কিভাবে বলতে পারে যে পুনরাবির্ভাব সম্ভব নয়? যদি মৃত্যু থেকে পুনরাবির্ভাব সম্ভব না হত, তবে যীশুরও উত্তরণ ঘটত না” (1 কোরিন্থিয়ানস 15:12-13)৷

য়াঁদের পুনরায় জীবনে উত্তরণ ঘটেছে তাদের মধ্যে প্রভূ যীশু ছিলেন প্রথম মহত্ সম্পদ৷ শারিরীক মৃত্যু আসে একজনের মাধ্যমে, আদম, যার সাথে আমরা প্রত্যেকে সম্পর্কিত৷ কিন্তু প্রতিটি মানুষ যারা ভগবানের পরিবারের অংশ তারা প্রভূ খ্রীষ্টে নিজের আস্থার মাধ্যমে নতুন জীবন লাভ করবে (1 কোরিন্থিয়ানস 15:20-22)৷ ভগবান যেরকম প্রভূ খ্রীষ্টের দেহের পুনরুত্থান ঘটিয়েছিলেন তেমনই আমাদেরও মৃত্যু থেকে উত্তরণ ঘটবে (1 কোরিন্থিয়ানস 6:14)৷

যদিও আমাদের প্রত্যেকেরই উত্তরণ ঘটবে তবুও আমরা প্রত্যেকে একই সাথে স্বর্গে যাব না৷ এই জীবনেই আমাদের সেটা ঠিক করতে হবে যে আমরা অমরত্ব লাভ করব কিনা৷ বাইবেলে বলা আছে যে আমাদের প্রত্যেকের একবার মৃত্যু নির্ধারিত আছে, এবং তারপরেই আসে বিচারের পালা (হিব্রু 9:27)৷ যারা ন্যায় করেছে তারা স্বর্গে শাশ্বত জীবন পাবে, কিন্তু অবিশ্বাসীরা শাস্তি পাবে অর্থাত্ নরকে যাবে (ম্যাথিউ 25:46)৷

নরক, স্বর্গের মত শুধু অস্তিত্বের বিষয় নয়, এটি একটি বাস্তব স্থান৷ এটি এমন একটি স্থান যেখানে অন্যায়কারীরা ভগবানের কাছ থেকে শেষ না হওয়া শাস্তি ভোগ করবে৷ তারা পাবে আবেগপূর্ণ, মানসিক এবং শারিরীক অত্যাচার, এবং তার সাথে পাবে লজ্জা, অনুশোচনা এবং ঘৃণা৷

নরক হল একটি অতল গর্ত (লিউক 8:31, রেভেলেশান 9:1) এবং আগুনের জলাশয়, যা কিনা সালফার দ্বারা জলন্ত, যেখানে অধিবাসীরা দিন রাত্রি নির্যাতিত হচ্ছে চিরকালের জন্য (রেভেলেশান 20:10)৷ নরকে থাকবে দাঁত কড়মড় করার শব্দ, যা কিনা অনুশোচনা এবং রাগ নির্দেশ করে (ম্যাথিউ 13:42)৷ এটি এমন একটি স্থান যেখানে কীট কথনো মরে না এবং আগুন কথনো নেভে না (মার্ক 9:48)৷ ভগবান পাপীদের মৃত্যুতে খুশী হন না, কিন্তু তাদের পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে চান যাতে তারা বেঁচে থাকতে পারে (এজেকিয়েল 33:11)৷ কিন্তু তিনি আমাদের এর জন্য জোর করেন না; আমরা যদি তাঁকে প্রত্যখ্যান করতে চাই, তিনি নিজে ঠিক করতে পারেন যে কি করা হবে তবে তিনি আমাদের ওপর তা ছেড়ে দেন – তাঁকে ছাড়া বাঁচার জন্য৷

এই পৃখিবীতে জীবন হল একটি পরীক্ষা, যা আসতে চলেছে তার জন্য প্রস্তুতি৷ বিশ্বাসীদের জন্য, এটি হল ভগবানের উপস্থিতিতে শাশ্বত জীবন৷ তাহলে আমরা কিভাবে ন্যায় করতে পারি এবং শাশ্বত জীবন পেতে পারি? একটি মাত্র পথ আছে – ভগবানের পুত্র যীশু খ্রীষ্টের ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন৷ যীশু বলেছেন, “আমিই পুনর্জীবন এবং জীবন৷ যারা আমাকে বিশ্বাস করে তারা বাঁচবে, যদি মৃত্যু হয় তবুও; এবং যারা বাঁচবে এবং বিশ্বাস করবে তারা কখনোই মরবে না...”(জন 11:25-26)৷

শাশ্বত জীবনের অমূল্য উপহার সকলের জন্যই উপলভ্য, কিন্তু এর জন্য আমাদের কিছু পার্থিব সুখ ছাড়তে হবে এবং ভগবানের উদ্দেশ্যে নিজেদের উত্সর্গ করতে হবে৷ “যারা বিশ্বাস করে তারা পায় শাশ্বত জীবন এবং যারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে তারা জীবন পায় না, তারা পায় ভগবানের ক্রোধ” (জন 3:36)৷ আমরা মৃত্যুর পর আর অনুশোচনা করতে পারি না কারণ তখন আমরা ভগবানকে মুখোমুখি দেখতে পাই, তাই তাঁকে বিশ্বাস করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো পথ থাকে না৷ তিনি চান যে আমরা যেন বিশ্বাস এবং ভালোবাসা নিয়ে তার কাছে যাই৷ আমরা যদি স্বীকার করি যে প্রভূ যীশু আমাদের পাপের দণ্ড ভোগ করতেই মৃত্যু বরণ করেছেন, তবে আমরা শুধু এই পৃথিবীতে অর্থপূর্ণ জীবন পাব না, প্রভূর উপস্থিতিতে অমর জীবন পাব৷

যদি তুমি প্রভূ যীশু থ্রীষ্টকে নিজের মুক্তিদাতা রূপে গ্রহণ করতে চাও এবং পুনরায় জন্মলাভ করতে চাও, তবে এখানে দেওয়া হল একটি আদর্শ প্রার্থনা৷ মনে রেখো শুধু এই প্রার্থনা বা অন্য কোনো প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তুমি মুক্তি পাবে না৷ শুধুমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস থাকলেই তুমি পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারো৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন !

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: আমার জন্য সঠিক ধর্ম কোনটি?

উত্তর:
মুখরোচক খাবারের রেঁস্তোরায় আমরা আমাদের পছন্দমত খাবার পছন্দ করতে পারি৷ আবার কিছু কফির দোকানে তাদের কাছে নানা ধরণের স্বাদ ও গন্ধের কফি থাকে৷ এমনকি যখন আমরা বাড়ি বা গাড়ি কিনি তখনও আমাদের কাছে পছন্দ অনুযায়ী অনেক বিকল্প থাকে৷ আমরা আর এখন শুধুমাত্র চকোলেট, ভ্যানিলা আর স্ট্রবেরির পৃথিবীতে বাস করি না৷ পছন্দই রাজা! তুমি নিজের পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন জিনিস থুঁজে পেতে পার৷

তাহলে ধর্মের বিষয়ে তোমার কি মত যা তোমার জন্য একেবারে সঠিক? কি মত সেই ধর্ম সম্পর্কে যা ত্রুটি-মুক্ত, যার কোন চাহিদা নেই, এবং যা প্রচুর করণীয় এবং অকরণীয় কার্যের দ্বারা ব্যাহত নয়? এই ধর্মটি ঠিক সেরকমই যেরকম আমি বর্ণনা করলাম৷ কিন্তু ধর্মকে বেছে নেওয়া এবং নিজের পছন্দের আইসক্রিম বেছে নেওয়া কি এক?

আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনেক স্বরের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলে, তাই যীশুকেই আমরা কেন সকলের ওপরে রাথব যেখানে মহম্মদ অথবা কনফুসিয়াস, বুদ্ধ, অথবা চার্লস টেজ রাসেল, অথবা জোসেফ স্মিথ সকলেই রয়েছেন? আসলে সকল পথই কি আমাদের স্বর্গের দিকে নিয়ে যায় না? সকল ধর্মই কি আসলে সমান নয়? তবে সত্যিটা হল যে সকল ধর্মই আমাদের স্বর্গের দিকে নিয়ে যায় না যেমন সকল পথ আমাদের ইণ্ডিয়ানার দিকে নিয়ে যায় না৷

যীশুই একমাত্র ভগবানের ক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন কারণ তিনিই একা মৃত্যুকে জয় করেছেন৷ মহম্মদ, কনসফুসিয়াস, এবং অন্যান্যরাও নিজের নিজের ক্ষেত্রে ধর্মের রূপকার৷ কিন্তু যীশু তাঁর নিজের ক্ষমতাবলে রোমান ক্রুশে মৃত্যুর তিন দিন পরে সেই কবর থেকে হেঁটে গিয়েছেন৷ যেকোনো কারো যদি মৃত্যুকে জয় করার ক্ষমতা থাকে তবে তা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ যেকোনো কারো যদি মৃত্যুকে জয় করার ক্ষমতা থাকে তবে তাঁর কথা শোনা উচিত৷

যে প্রমাণগুলি যীশুর পুনরুত্থানের ঘটনাকে সমর্থন করে তার দ্বারা আমরা অভিভূত হই৷ প্রথমত, সেই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছিল এরকম মানুষের সংখ্যা অন্তত পাঁচশো৷ পাঁচশো মানুষের কথাকে উপেক্ষা করা যায় না৷ সেখানে ফাঁকা কবরও ছিল৷ যীশুর শত্রুরা অনায়াসেই পুনরুত্থানের সব কথাবার্তা বন্ধ করতে পারত তাঁর মৃত এবং ক্ষয়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখিয়ে, কিন্তু সেখানে তাদের জন্য কোনো মৃতদেহ ছিল না৷ সেই কবর ছিল ফাঁকা৷ তাহলে কি তাঁর শিষ্যরা তাঁর মৃতদেহ চুরি করেছিল ? অসম্ভব, কারণ এরকম ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্যই সেই কবর সেনারা পাহাড়া দিয়ে রেখেছিল৷ তাছাড়া যীশুর ঘনিষ্ট শিষ্যরা তাঁকে বন্দী এবং ক্রুশবিদ্ধ করার সময় সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল৷ এটা সবচেয়ে অসম্ভব ছিল যে তাঁর ভীত শিষ্যরা শিক্ষাপ্রাপ্ত, পেশাদারী সৈন্যদের সাথে লড়াই করবে৷ তাদের মধ্যে কেউই নিজেদের জীবন উত্সর্গ করে শহীদ হয়ে যায়নি – যা বেশিরভাগই তারা করেছে – এরজন ঠক ব্যক্তির জন্য৷ তবে আসল ঘটনা হল প্রভূ যীশুর পুনরুত্থানের ঘটনা অবর্ণনীয়৷

আবার, যিনি মৃত্যুকে জয় করার ক্ষমতা রাখেন তাঁর কথা শোনা উচিত৷ যীশু মৃত্যুর ওপর নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন, তাই আমাদের শোনা প্রয়োজন যে তিনি কি বলছেন৷ যীশু দাবি করেছেন যে তিনিই মুক্তির একমাত্র পথ (জন 14:6)৷ তিনি পথ নন; তিনি অনেকগুলি পথের একটি নন, যীশুই একমাত্র পথ৷

আর যীশুও এই একই কথা বলেছেন, “তোমরা প্রত্যেকে আমার কাছে এস যারা পরিশ্রমী এবং ক্লান্ত, এবং আমি তোমাদের শান্তি দেব” (ম্যাথিউ 11:28)৷ এই পৃথিবী খুব কঠোর এবং জীবন কঠিণ৷ আমরা বেশিরভাগই ক্ষতবিক্ষত, ভগ্নহৃদয় এবং যুদ্ধবিমুখ, সম্মত? তাই তুমি কি চাও? পুনস্থাপনা নাকি বিশুদ্ধ ধর্ম? একজন জীবন্ত মুক্তিদাতা নাকি অনেক মৃত “ধর্মপ্রচারক” ? একটি অর্থবহ সম্পর্ক নাকি অর্থহীন সংস্কার? যীশু অনেকগুলি পছন্দের একটি নন – তিনিই একমাত্র পছন্দ!

তুমি যদি ক্ষমা লাভ করতে চাও তবে যীশুই হলেন সঠিক “ধর্ম” (য়্যাক্টস 10:43)৷ তুমি যদি ভগবানের সাথে অর্থবহ সম্পর্ক লাভ করতে চাও তবে যীশুই হলেন সঠিক “ধর্ম” (জন 10:10)৷

তুমি যদি স্বর্গে নিজের জন্য শাশ্বত স্থান লাভ করতে চাও তবে যীশুই হলেন সঠিক “ধর্ম” (জন 3:16)৷ তোমার মুক্তিদাতা হিসেবে যীশু খ্রীষ্টের ওপর নিজের আস্থা স্থাপন কর ; তোমাকে এর জন্য অনুশোচনা করতে হবে না ! তোমার পাপের ক্ষমার জন্য তাঁর ওপরই বিশ্বাস রাখ ; তোমাকে হতাশ হতে হবে না৷

যদি তুমি ভগবানের সাথে “সঠিক সম্পর্ক” স্থাপন করতে চাও, তবে এখানে দেওয়া হল একটি আদর্শ প্রার্থনা৷ মনে রেখো শুধু এই প্রার্থনা বা অন্য কোনো প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তুমি মুক্তি পাবে না৷ শুধুমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস থাকলেই তুমি পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারো৷ এই প্রার্থনা হল একটি সাধারণ পথ যার মাধ্যমে তুমি ভগবানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখতে পারো এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে পারো তোমাকে মুক্তির পথ প্রদান করার জন্য৷ “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন !”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: রোমানসের মুক্তির পথ কি?

উত্তর:
রোমানসের বইতে ছন্দোবদ্ধ কবিতার মাধ্যমে বর্ণনা করে মুক্তির যে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তাই হল রোমানসের মুক্তির পথ৷ এটি একটি সহজ অথচ শক্তিশালী পদ্ধতি যার সাহায্যে বর্ণনা করা হয় যে কেন আমাদের মুক্তির প্রয়োজন, কিভাবে ভগবান মুক্তি প্রদান করেন, এবং মুক্তির ফলাফলগুলিই বা কি৷

রোমানসে প্রণীত রোমানসের মুক্তির পথের প্রথম কবিতাটি হল 3: 23, “প্রতিটি কৃত পাপের জন্য প্রভূর মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়৷” আমরা প্রত্যেকেই পাপ করেছি৷ আমরা প্রত্যেকেই এমন অনেক কাজ করেছি যা কিনা ভগবানকে অখুশি করে৷ কেউই নেই যে নিরীহ৷ রোমানস 3: 10-18 সম্পূর্ণ ছবি দেখায় যে আমাদের জীবনে পাপ কিরকম৷ রোমানসের মুক্তির পথের দ্বিতীয় শাস্ত্র হল, রোমানস 6: 23, আমাদের পাপের ফলাফল সম্পর্কে শেথায় - “পাপের ফল হল মৃত্যু; কিন্তু প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ভগবান আমাদের শাশ্বত জীবনের উপহার দিয়েছেন৷” আমাদের পাপের জন্য যে শাস্তি প্রাপ্য তা হল মৃত্যু৷ শুধুমাত্র শারিরীক মৃত্যু নয়, কিন্তু শাশ্বত মৃত্যু!

রোমানসে প্রণীত রোমানসের মুক্তির পথের তৃতীয় কবিতাটি নেওয়া হয়েছে রোমানস 6:23 এর বাম অংশ থেকে, “তবে ভগবান প্রদত্ত উপহার হল শাশ্বত জীবন যা তিনি প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে থাকেন৷” রোমানস 5:8 ঘোষণা করে, “কিন্তু ভগবান আমাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, যদিও আমরা প্রত্যেকেই পাপী, এবং খ্রীষ্ট আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন৷” যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন৷ তাঁর মৃত্যু আমাদের কৃত পাপের মূল্য দিয়েছে, যীশুর পুনরুত্থান প্রমাণ করে যে তাঁর মৃত্যু আমাদের পাপের মূল্য চুকিয়েছে৷

রোমানসে প্রণীত রোমানসের মুক্তির পথের চতুর্থ ধাপটি হল রোমানস 10:9, “যদি তুমি নিজের মুখে যীশুকে নিজের প্রভূ হিসেবে স্বীকার কর এবং মন থেকে বিশ্বাস কর যে ভগবান মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থান ঘটিয়েছেন, তবে তুমি রক্ষা পাবে৷” কারণ আমাদের পক্ষ থেকে খ্রীষ্টের মৃত্যু, আমরা যা করতে পারি তা হল তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি, আর বিশ্বাস করতে পারি যে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল আমাদের পাপের মূল্য দিতে – এবং আমরা রক্ষা পাব! রোমানস 10:13 আবার বলে, “প্রতিটি মানুষ যাদের প্রভূর ওপর আস্থা আছে তারা রক্ষা পাবে৷” প্রভূ যীশু আমাদের পাপের দণ্ড ভোগ করতে মৃত্যু বরণ করেছেন এবং আমাদের শাশ্বত মৃত্যুর থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন৷ মুক্তি, পাপের ক্ষমা, প্রতিটি মানুষ লাভ করবে যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের প্রভূ এবং মুক্তিদাতা হিসেবে বিশ্বাস করে৷

রোমানসে প্রণীত রোমানসের মুক্তির পথের সর্বশেষ পদক্ষেপ হল মুক্তির ফল৷ রোমানস 5:1 এ রয়েছে একটি অপূর্ব বার্তা, “তাই, যখন থেকে আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মালো, আমরা প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ভগবানের কাছ থেকে শান্তি পেলাম৷” প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমরা ভগবানের সাথে শান্তির সম্পর্ক তৈরি করতে পারি৷ রোমানস 8:1 আমাদের শেখায়, “তাই, এখন আর কোনো দণ্ডাদেশ তাদের জন্য নেই যারা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী৷” কারণ যীশুর মৃত্যু হয়েছিল আমাদের জন্য, তাই আমরা কোনোদিন পাপের দণ্ড ভোগ করিনি৷ শেষ পর্যন্ত তাই আমরা রোমানস 8:38-39 এ ভগবানের অমূল্য প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, “আমি যা মেনে নিয়েছি তা জন্মও নয় আবার মৃত্যুও নয়, দেবদূতও নয় আবার দৈত্যও নয়, বর্তমানও নয় আবার ভবিষ্যত্ও নয়, কোনো শক্তিও নয়, উচ্চতাও নয় আবার গভীরতাও নয়, সমস্ত সৃষ্টিতে অন্য কোনো কিছুই নয়, কোনো কিছুই আমাদের প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাওয়া ভগবানের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না৷”

তুমি কি রোমানসের মুক্তির পথ অনুসরণ করতে চাও ? যদি চাও, এখানে একটি সাধারণ প্রার্থনা আছে যা তুমি ভগবানের উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করতে পার৷ এই প্রার্থনাটি উচ্চারণ করে তুমি ভগবানের কাছে স্বীকার করতে পার যে প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের ওপর তোমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে মুক্তিদাতা হিসেবে৷ এই শব্দগুলি তোমাকে রক্ষা করবে না৷ শুধুমাত্র প্রভূ যীশুর ওপর আস্থাই মুক্তি প্রদান করতে পারে ! “ভগবান, আমি জানি যে আমি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পাপ করেছি এবং শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু আমার যে শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল তা যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন, তাই তাঁর ওপর আস্থার মাধ্যমেই আমি ক্ষমা লাভ করব৷ আমি মুক্তির জন্য আপনার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ আপনার অপূর্ব কৃপা এবং ক্ষমাশীলতার জন্য ধন্যবাদ – যা কিনা শাশ্বত জীবনের উপহার ! আমেন !”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: পাপীর প্রার্থনা কি?

উত্তর:
পাপীর প্রার্থনা হল সেই প্রার্থনা যা একজন ব্যক্তি ভগবানের উদ্দেশ্যে করে থাকে যখন সে উপলব্ধি করে যে সে পাপী এবং তার মুক্তিদাতার প্রয়োজন৷ পাপীর প্রার্থনা উচ্চারণ করলেই তা সম্পূর্ণ হয় না৷ একজন পাপীর প্রার্থনা তখনই ফলপ্রাপ্ত হয় যখন একজন মানুষ নিশ্চিতভাবে জানে, বোঝে এবং বিশ্বাস করে যে সে পাপী এবং তার মুক্তির প্রয়োজন৷

পাপীর প্রার্থনার প্রথম পদক্ষেপ হল এটা বোঝা যে আমরা প্রত্যেকেই পাপী৷ রোমানস 3:10 ঘোষণা করে, “যেমন লেখা আছে, কেউ ন্যায়বান নয়, না, একজনও নয়৷” বাইবেল এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে আমরা প্রত্যেকেই পাপ করেছি৷ আমরা প্রত্যেকেই পাপী এবং আমাদের করুণা ও ক্ষমার প্রয়োজন (টাইটাস 3:5-7)৷ আমাদের পাপের জন্য আমরা শাশ্বত শাস্তিলাভের যোগ্য (ম্যাথিউ 25:46)৷ পাপীর প্রার্থনা হল বিচারের পরিবর্তে কৃপার জন্য ছল৷ এটি হল ক্রোধের পরিবর্তে করুণার জন্য আবেদন৷

পাপীর প্রার্থনার দ্বিতীয় পদক্ষেপ হল আমাদের পাপী অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ভগবান কি প্রতিবিধান করেছেন৷ ভগবান মাংস নিলেন এবং যীশু খ্রীষ্ট রূপে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেন (জন 1:1, 14)৷ যীশু আমাদের ভগবানের বিষয়ে সত্য শিখিয়েছেন এবং একটি উত্কৃষ্ট ন্যায়পূর্ণ ও পাপহীন জীবন যাপন করেছেন (জন 8:46; 2 কোরিন্থিয়ানস 5:21)৷ তারপর যীশু আমাদের পৃথিবীতে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন এবং আমাদের যে শাস্তি পাওয়ার কথা ছিল তা নিজে গ্রহণ করলেন (রোমানস 5:8)৷ যীশুর মৃত্যু থেকে উত্তরণ ঘটল এবং তিনি প্রমাণ করলেন পাপ, মৃত্যু এবং নরকের ওপর তাঁর জয় (কোলোসিয়ানস 2:15; 1 কোরিন্থিয়ানস ভাগ 15)৷ এই সবের কারণে, আমাদের পাপ ক্ষমাপ্রাপ্ত হয় এবং আমরা স্বর্গে শাশ্বত স্থান পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাই – যদি আমরা শুধুমাত্র আমাদের আস্থা প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের ওপর রাখি৷ আমাদের শুধুমাত্র এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে তিনি আমাদের স্থানে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং সেথান থেকে তাঁর উত্তরণ ঘটেছে (রোমানস 10:9-10)৷ আমরা শুধুমাত্র কৃপার দ্বারা, বিশ্বাসের দ্বারা এবং প্রভূ যীশুর দ্বারা মুক্তি পেতে পারি৷ এফেন্সিয়ানস 2:8 ঘোষণা করে যে, “কৃপার দ্বারা আমরা মুক্তি পাব, বিশ্বাসের দ্বারা – এবং এটি তোমার দ্বারা হবে না, এটি হল ভগবানের উপহার৷”

পাপীর প্রার্থনা উচ্চারণ করার মাধ্যমে তুমি ভগবানের কাছে এই কথা ঘোষণা করছ যে, প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের ওপর তোমার আস্থা আছে এবং তুমি তাঁকেই নিজের মুক্তিদাতা হিসেবে বিশ্বাস কর৷ মুক্তির জন্য কোনো “যাদুকরী” শব্দ নেই৷ এটি শুধুমাত্র যীশুর মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থানের ওপর বিশ্বাস যা আমাদের মুক্তি দিতে পারে৷ তুমি যদি বোঝ যে তুমি একজন পাপী এবং যীশুর মাধ্যমে তুমি মুক্তিলাভ করতে চাও তবে এই পাপীর প্রার্থনা তুমি ভগবানের উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করতে পার : “ভগবান, আমি জানি যে আমি একজন পাপী৷ আমি জানি যে আমার পাপের জন্য আমার শাস্তি হওয়া উচিত৷ যদিও আমি আমার মুক্তিদাতা হিসেবে প্রভূ যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করি৷ আমি বিশ্বাস করি যে তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থান আমাকে ক্ষমা করার জন্যই প্রদত্ত৷ আমি এক এবং একমাত্র যীশুকেই আমার প্রভূ এবং মুক্তিদাতা হিসেবে বিশ্বাস করি৷ আমাকে রক্ষা করার জন্য এবং ক্ষমা করার জন্য প্রভূ তোমায় ধন্যবাদ! আমেন!”

যে কারণে আপনি এটি পড়লেন তার ওপর আপনি কি খ্রিষ্টধর্মের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের বাটনে “আমি আজ খ্রিষ্টধর্মকে গ্রহণ করেছি” এর ওপর ক্লিক করুন।

এখনই আমি যিশুখ্রিষ্টের ওপর বিশ্বাস রাখছি....এখন কি হবে?

অভিনন্দন! আপনি একটা জীবন–পরিবর্তন মূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে, “এখন কি হবে? কেমন করে আমি ঈশ্বরের সঙ্গে আমার যাত্রা আরম্ভ করব?” বাইবেলের দ্বারা নির্দেশিত নিম্নলিখিত পাঁচটি পদক্ষেপ আপনাকে এই ব্যাপারে পরিচালনা করবে। আপনার চলার পথে যখন প্রশ্নগুলি আসবে, অনুগ্রহ করে পরিদর্শন করুন www.GotQuestions.org/Bengali.

1. আপনি যে মোক্ষ বোঝেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।

1 জন 5:13 আমাদেরকে বলে, “তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস রাখো তাদেরকে আমি এই বিষয়গুলি লিখি যাতে তোমরা জানতে পারো যে তোমাদের শাশ্বত জীবন আছে”। ঈশ্বর চান আমরা যেন মোক্ষকে উপলব্ধি করতে পারি। ঈশ্বর চান আমরা যেন বিশ্বাসের সঙ্গে জানতে পারি যে আমরা নিশ্চিত ভাবে সুরক্ষিত আছি। সংক্ষিপ্ত ভাবে, চলো আমরা মোক্ষের মূল দৃষ্টিকোণের দিকে যাই:

(a) আমরা প্রত্যেকই পাপ করেছি। আমরা প্রত্যেকেই সেইসব কাজ করেছি যা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে (রোমানস্ 3:23)।

(b) আমাদের পাপের কারণে, ঈশ্বরের থেকে চিরস্থায়ী বিচ্ছেদের শাস্তিই আমাদের প্রাপ্য (রোমানস্ 6:23)।

(c) আমাদের পাপের মূল্য মেটাতে যিশু নিজে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন (রোমানস্ 5:8; 2 করিন্থিয়ানস্ 5:21)। আমাদের প্রাপ্য শাস্তি নিজে নিয়ে, আমাদের জায়গায় যিশু মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পুনরুত্থান প্রমাণ করে যে আমাদের পাপের মূল্য দিতে যিশুর মৃত্যুই যথেষ্ট।

(d) যারা যিশুর উপর তাদের বিশ্বাস রাখে ঈশ্বর তাদেরকেই ক্ষমা এবং মোক্ষ প্রদান করেন – এবং তাঁর মৃত্যুই আমাদের পাপের মূল্য বলে বিশ্বাস রাখে (জন 3:16; রোমানস্ 5:1; রোমানস্ 8:1)।

এটাই হল মুক্তির বার্তা! যদি তুমি তোমার পরিত্রাতা রূপে যিশুখ্রিষ্টের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারো, তাহলে তুমি বেঁচে যাবে! তোমার সমস্ত পাপেরই ক্ষমা হবে এবং ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দেন যে তোমাকে কখনও ছেড়ে যাবেন না অথবা পরিত্যাগ করবেন না (রোমানস্ 8:38-39; ম্যাথিউ 28:20)। মনে রেখো, তোমার মুক্তি যিশুখ্রিষ্টের হাতেই সুরক্ষিত (জন 10:28-29)। যদি তুমি তোমার পরিত্রাতা রূপে একমাত্র যিশুর ওপর বিশ্বাস রাখো, তাহলে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে পারো যে তুমি স্বর্গে ঈশ্বরের সঙ্গে অনন্তকাল একসঙ্গে কাটাতে পারবে!

2. একটা ভালো গির্জা খুঁজে নিন যা বাইবেল শিক্ষা দেয়।

গির্জাকে কখনও একটা বাড়ী বলে মনে করবেন না। গির্জা হল লোকজন। এটা খুবই জরুরী যে যিশুখ্রিষ্টে বিশ্বাসীরা যেন একে অন্যের বন্ধু হয়। এটা হল গির্জার একটা মূখ্য উদ্দেশ্য। এখন যখন আপনি যিশুখ্রিষ্টের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে আপনাকে উৎসাহিত করব যাতে আপনি আপনার এলাকায় বাইবেলে বিশ্বাসী একটা গির্জা খুঁজে নিতে পারেন এবং একজন ধর্মযাজকের সঙ্গে কথা বলেন। যিশুখ্রিষ্টের ওপর আপনার নতুন বিশ্বাস তাঁকে জানান। v গির্জার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল বাইবেল শিক্ষা দেওয়া। কেমন করে ঈশ্বরের নির্দেশগুলি আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, তা আপনি শিখতে পারেন। বাইবেলকে বুঝতে পারাই হল একটি সফল এবং কার্যকর খ্রিষ্টান জীবনের আসল চাবিকাঠি। 2 টিমোথি 3:16-17 বলে, “সকল ধর্মপুস্তকই ঈশ্বর নিঃসৃত এবং শিক্ষার জন্য, ভত্র্সনা, সংশোধন, এবং ন্যায়পরায়নতা শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, যাতে মানুষ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সকল ভালো কাজের জন্য তৈরি হতে পারে”।

গীর্জার তৃতীয় উদ্দেশ্য হল উপাসনা। ঈশ্বর যা কিছু করেছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়াই হল উপাসনা! ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেছেন। ঈশ্বর আমাদের ভালোবাসেন। ঈশ্বর আমাদের অনেক দিয়েছেন। ঈশ্বর আমাদের পরিচালনা করেন এবং নির্দেশ দেন। কি করে আমরা তাঁকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারব? ঈশ্বর হলেন পবিত্র, ন্যায়পরায়ন, প্রেমময়, ক্ষমাময়, এবং ঔদার্যে পরিপূর্ণ। রেভেলেশন 4:11 প্রচার করে, “আমাদের প্রভু এবং ঈশ্বর, আপনি যশ, সম্মান, ক্ষমতা লাভের যোগ্য, কারন আপনিই সকল জিনিস সৃষ্টি করেছেন, এবং আপনার ইচ্ছাতেই সেগুলি সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের অস্তিত্ব আছে”।

3. ঈশ্বরে কেন্দ্রীভূত হওয়ার জন্য প্রত্যেক দিন কিছু সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন।

ঈশ্বরে কেন্দ্রীভূত হওয়ার জন্য প্রত্যেক দিন কিছুটা সময় অতিবাহিত করা আমাদের পক্ষে খুবই জরুরী। কিছু লোক এটাকে বলেন “নিঃশব্দ সময়”। অন্যেরা এটাকে বলেন “উৎসর্জন”, কারণ এটাই হচ্ছে সেই সময় যখন আমরা নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করি। কেউ কেউ এই সময়টাকে সকালে বেছে নিতে পছন্দ করেন, অন্যেরা আবার সন্ধ্যায় পছন্দ করেন। এই সময়টাকে আপনি যাই নাম দিন বা যখনই আপনি এটা করুন না কেন সেটা কোন ব্যাপার নয়। যেটা ব্যাপার হল যে আপনাকে নিয়মিত ঈশ্বরের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সময় কাটাবার জন্য কি কি করতে হবে?

(a) প্রার্থনা। প্রার্থনা হল ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলা। আপনার উদ্বেগ এবং সমস্যার ব্যাপারে ঈশ্বরকে বলুন। ঈশ্বরকে বলুন আপনাকে জ্ঞান এবং পরামর্শ দিতে। ঈশ্বরকে বলুন আপনার প্রয়োজনগুলি মেটাতে। ঈশ্বরকে বলুন যে আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন, এবং তিনি আপনার জন্য যা করেছেন সেজন্য আপনি তাঁর কাছে কতটা কৃতজ্ঞ। এসবই হল প্রার্থনা।

(b) বাইবেল পড়া। গির্জায়, রবিবারের স্কুলে, এবং/অথবা বাইবেল অধ্যয়নে বাইবেল শেখানো ছাড়াও আপনার নিজের প্রয়োজনে বাইবেল পড়তে হবে। একটি সফল খ্রিষ্টান জীবনযাপনের জন্য যা যা জানার প্রয়োজন তার প্রত্যেকটা বিষয়ই বাইবেলে আছে। কিভাবে জ্ঞানী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, কিভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছাকে জানা যায়, অন্যান্যদের কি করে পরিচালনা করা যায়, এবং কেমন করে আধ্যাত্মিক ভাবে বেড়ে ওঠা যায় সেই সংক্রান্ত ঈশ্বরের উপদেশ এতে দেওয়া আছে। বাইবেল হল আমাদের কাছে ঈশ্বরের কথা। বাইবেল হল ঈশ্বরের একটি অপরিহার্য নির্দেশিকা যার দ্বারা আমরা জানতে পারি কিভাবে জীবনযাপন করে আমরা তৃপ্ত হতে পারি এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারি।

4. যাঁরা আধ্যাত্মিকভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন সেইসব লোকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

1 কোরিনথিয়ান্স 15:33 আমাদেরকে বলে, “বিভ্রান্ত হবেন না: খারাপ সঙ্গ ভালো চরিত্রকেও দূষিত করে দেয়”। বাইবেল হল “খারাপ” লোকেরা কিভাবে আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে সেই সর্ম্পকে দেওয়া সাবধানবাণী। যারা পাপকাজে যুক্ত থাকে তাদের সঙ্গে সময় কাটালে সেই কাজগুলি আমাদের প্রলোভনের কারণ হতে পারে। আমাদের চারপাশের চরিত্রগুলি আমাদেরকে “শেষ করে” দিতে পারে। সেই জন্যই যেসব লোকেরা প্রভুকে ভালোবাসেন, এবং ওনার প্রতি নিবেদিত প্রাণ তাদেরই আমাদের চারপাশে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।

একজন বা দুইজন বন্ধুকে খুঁজে বার করুন, হয়ত তাদেরকে আপনার গির্জা থেকে পাবেন, যারা আপনাকে সাহায্য করবে এবং উৎসাহ দেবে (হিব্রু 3:13; 10:24)। আপনার বন্ধুদের বলুন যে তারা যেন আপনার শান্ত সময়ের, আপনার কাজকর্মের, এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার বেড়ানোর ব্যাপারে আপনারকে দায়বদ্ধ রাখেন। তাদেরকে বলুন যে আপনি তাদের জন্য একই কাজ করতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, যেসব বন্ধুরা প্রভু যিশুকে তাদের পরিত্রাতা বলে মনে করেন না, তাদেরকে আপনি ছেড়ে দেবেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা চালিয়ে যান। যিশু আপনার জীবনকে যে বদলে দিয়েছেন কেবলমাত্র তা তাদেরকে জানান এবং আপনি আগে যে কাজগুলি করতেন এখন সেগুলি আর করতে পারবেন না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন যে তিনি যেন আপনাকে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে যিশুকে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ করে দেন।

5. খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হোন

খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে অনেকে ভুল ধারণা আছে। “খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া” শব্দটার মানে হল জলে নিমজ্জিত হওয়া। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া হল বাইবেলের পথে খ্রিষ্টের প্রতি আপনার বিশ্বাসকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা এবং সেটাকে অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। জলের মধ্যে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনাকে বোঝায় খ্রিষ্টের সাথে সমাধিস্থ হওয়া। জলের থেকে বেরিয়ে আসাটা খ্রিষ্টের পুনরুত্থানকে বর্ণিত করে। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া যিশুর মৃত্যু, কবর, এবং পুনরুত্থান হওয়ার সাথে আপনার নিজেকে সনাক্ত করা (রোমানস্ 6:3-4)।

খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া আপনাকে রক্ষা করে না। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া আপনার পাপগুলিকে ধুয়ে ফেলে। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া হল কেবলমাত্র আনুগত্যের প্রতি একটি পদক্ষেপ মাত্র, একাকী মুক্তির জন্য খ্রিষ্টের প্রতি বিশ্বাসের একটি সাধারণ প্রচার। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া জরুরী, কারণ, এটা আনুগত্যের প্রতি একটা পদক্ষেপ – জনসমক্ষে খ্রিষ্টের প্রতি আপনার বিশ্বাসের একটা প্রচার এবং তাঁর প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি। যদি আপনি খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হতে প্রস্তুত, তাহলে আপনার একজন ধর্মযাজকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।