চার রথ
6
তারপর আমি আবার ওপরে তাকিয়ে দেখলাম চারটে রথ, তারা দুটি পিতলের পর্বতের মধ্য থেকে বের হয়ে আসছে| প্রথম রথটি টানছিল লাল রঙের ঘোড়া| দ্বিতীয় রথটিকে টানছিল কালো রঙের ঘোড়া| তৃতীয় রথটিকে টানছিল সাদা রঙের ঘোড়া আর লাল বিন্দু বিন্দু দাগওযালা ঘোড়াগুলি টানছিল চতুর্থ রথটিকে| যে দেবদূতটি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয় এর অর্থ কি?”
দেবদূতটি বললেন, “এরা চারটি বাতাস, তারা পৃথিবীর প্রভুর কাছ থেকে সদ্য এসেছে| কালো ঘোড়াগুলি যাবে উত্তর দিকে, লাল ঘোড়াগুলি যাবে পূর্বে, সাদা ঘোড়াগুলি যাবে পশ্চিমে এবং লাল বিন্দু বিন্দু দাগ দেওয়া ঘোড়াগুলি যাবে দক্ষিণে|”
লাল বিন্দু খচিত ঘোড়ারা তাদের অংশে পৃথিবীতে যাবার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠল, তাই দেবদূত তাদের বললেন, “যাও তোমরা সারা পৃথিবী ঘুরে এসো|” তাই তারা পৃথিবীর চারদিক ঘুরতে গেল|
তখন প্রভু আমাকে চিৎকার করে বললেন, “দেখ, যে ঘোড়াগুলি উত্তরে গিয়েছিল, তারা তাদের কাজ শেষ করে ফিরে এসেছে| তারা আমার আত্মাকে শান্ত করেছে তাই আমি আর রুদ্ধ নই!”
যাজক যিহোশূয়কে মুকুট পরানো হল
তখন আমি প্রভুর কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পেলাম| তিনি বললেন, 10 “হিল্দয়, টোবিয় ও যিদায় বাবিলের বন্দী দশা থেকে ফিরে এসেছে| সেই লোকেদের কাছ থেকে তুমি রূপো ও সোনা সংগ্রহ কর এবং সফনিয়ের পুত্র যোশিয়ের বাড়ী যাও| 11 সেই রূপো ও সোনা ব্যবহার করে একটি মুকুট তৈরী কর এবং যিহোষাদকের পুত্র, মহাযাজক যিহোশূয়কে মুকুট মণ্ডিত কর| তারপর যিহোশূয়কে এই বিষয়গুলি বল:
12 প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন:
‘শাখা নামে এক মানুষ আছেন,
তিনি শক্তিমান হয়ে উঠবেন,
তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন|
13 তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন ও সম্মান গ্রহণ করবেন|
তিনি সিংহাসনে বসে শাসন করবেন|
আর একজন যাজক তার সিংহাসনের পাশে দাঁড়াবে|
এই দুই জন একসাথে শান্তিতে কাজ করবে|’
14 হিল্দয়, টোবিয়, যিদায় এবং সফনিয়ের পুত্র যোশিয়ের জন্য একটি স্মারক হিসেবে ঐ মুকুটটি তারা মন্দিরেই রাখবে|”
15 দূরদেশে বসবাসকারী লোকেরাও এসে মন্দিরে নির্মাণ করবে| তখন তোমরা নিশ্চিতভাবে জানবে যে প্রভুই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন| প্রভুর কথা অনুসারে কাজ করলে এই বিষয়গুলি ঘটবে|