13
সাক্ষ্যসিন্দুক ফেরৎ‌ আনা
দায়ুদ তাঁর সেনাবাহিনীর সমস্ত অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলার পর ইস্রায়েলের লোকদের এক জায়গায় জড়ো করে বললেন, “প্রভুর যদি ইচ্ছে হয় এবং তোমরা সকলেও যদি তাই মনে কর, তাহলে ইস্রায়েলের সর্বত্র আমাদের সহ-নাগরিক ও জ্ঞাতিদের, যাজক ও লেবীয়দের সবাইকে, যাঁরা বিভিন্ন শহরে ও তার আশেপাশে আমাদের জ্ঞাতিদের সঙ্গে বাস করেন, তাঁদের খবর পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হোক্| তারপর আমরা সাক্ষ্যসিন্দুকটা জেরুশালেমে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনি| শৌল রাজা থাকাকালীন আমরা ঐ সাক্ষ্যসিন্দুকটার ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি|” দায়ুদের সঙ্গে ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা এক মত হল এবং তারা সকলে ভাবল এটিই আমাদের করা উচিৎ‌|
কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিয়ে আনার জন্য মিশরে সীহোর নদী থেকে লেবো হমাত শহর পর্যন্ত ইস্রায়েলের সকলকে জড়ো করলেন| তারপর দায়ুদ ও এই সমস্ত লোকরা মিলে যিহূদার বালা (অর্থাৎ‌ কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে) সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিয়ে আনতে গেলেন| ঐ সাক্ষ্যসিন্দুককে করূব দূতদের ঊর্দ্ধে যিনি বসেন সেই প্রভু ঈশ্বরের সিন্দুকও বলা হত|
সবাই মিলে সাক্ষ্যসিন্দুকখানা অবীনাদবের বাড়ি থেকে বের করে নতুন একটা ঠেলা গাড়িতে বসালেন| উষঃ আর অহিয়ো ঐ গাড়িকে পথ দেখাচ্ছিলেন|
দায়ুদ ও ইস্রায়েলের লোকরা বাঁশি, বীণা, ঢাক, খোল, কর্তাল, শিঙা বাজিয়ে ঈশ্বরের বন্দনা গান গেয়ে ঈশ্বরের সামনে উৎসব পালন করছিলেন|
কীদোনের শস্য মাড়াইয়ের উঠান পর্যন্ত আসার পর যে ষাঁড়গুলো গাড়ি টানছিল তারা হোঁচট খাওয়ায় সাক্ষ্যসিন্দুকটা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল, উষঃ কোনমতে হাত বাড়িয়ে সিন্দুকটাকে আটকালেন| 10 কিন্তু ঐ সিন্দুক স্পর্শ করার অপরাধে ক্রুদ্ধ প্রভু ঘটনাস্থলেই উষের প্রাণ নিলেন| 11 এই ঘটনায় দায়ুদ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন| তারপর থেকে ঐ জায়গা “পেরস-উষঃ” নামে পরিচিত|
12 ঈশ্বরের রোষে ভয় পেয়ে দায়ুদ বললেন, “আমি আর এই সাক্ষ্যসিন্দুক আমার কাছে নিতে পারব না!” 13 তাই দায়ুদ সাক্ষ্যসিন্দুকটি দায়ুদ নগরে নিজের কাছে না এনে গাতের ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রেখে এলেন| 14 সাক্ষ্যসিন্দুকটা তিন মাসের জন্য ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রাখা হয়েছিল| এজন্য ওবেদ-ইদোমের পরিবারের প্রতি এবং তার নিজের সব জিনিষের ওপর প্রভুর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়|