5
“ইয়োব, তুমি যদি চাও তো চিৎকার কর, কিন্তু কেউ তোমার ডাকে সাড়া দেবে না!
তুমি কোন্ পবিত্র সত্তার দিকে ফিরবে?
একজন বোকা লোকের ক্রোধই তাকে হত্যা করবে|
একজন বোকা লোকের প্রচণ্ড আবেগই তাকে হত্যা করবে|
আমি একজন বোকা লোককে দেখেছিলাম যে ভেবেছিল সে নিরাপদে আছে|
কিন্তু সে হঠাৎ‌‌ মারা গেল|
তার ছেলেদের সাহায্য করার জন্য কেউই ছিল না|
নগরদ্বারে* নগরদ্বার সেই স্থান যেখানে আদালত বসে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়| কেউ তাদের লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করে নি|
ক্ষুধিত লোকরা তার সব শস্য খেয়ে নিয়েছিল|
কাঁটাঝোপের মধ্যে যে শস্য গজিয়ে উঠেছিলো, এই ক্ষুধিত লোকরা তাও খেয়ে নিয়েছিল|
তাদের যা কিছু ছিল, লোভী লোকরা সবই নিয়ে গিয়েছিল|
শুধুমাত্র ধূলো থেকে খারাপ সময় উঠে আসে না|
সমস্যা হঠাৎ‌‌ করে ভূমি ফুঁড়ে জন্মায় না|
কিন্তু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হতে বাধ্য| মানুষ … বাধ্য অথবা “মানুষ সমস্যাকে জন্ম দেয়|”
ঠিক যেমন আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ ওড়ে|
কিন্তু ইয়োব, আমি যদি তুমি হতাম, আমি ঈশ্বরকে খুঁজতাম
এবং ঈশ্বরকে সম্বোধন করে আমার কথা বলতাম|
ঈশ্বর মহান কাজগুলি করেন যা কেউ পুরোপুরি বুঝতে পারে না|
তিনি এত বিস্ময়কর কাজ করেন যে তাদের গোনা যায় না|
10 ঈশ্বর পৃথিবীতে বৃষ্টি পাঠান|
তিনি জমির জন্য জল পাঠান|
11 ঈশ্বর একজন বিনয়ী লোককে উন্নীত করেন|
অতএব যারা বিলাপরত তারা বিজয়প্রাপ্ত বিজয়প্রাপ্ত অথবা “পরিত্রাণ|” হয়|
12 ঈশ্বর চালাক ও মন্দ লোকদের ফন্দি বানচাল করে দেন
যাতে তাদের পরিকল্পনা সফল না হয়|
13 ঈশ্বর, চালাক লোকদেরও তাদের নিজেদের ফাঁদেই ধরেন|
তাই, সেই সব চালাকিও সফল হয় না|
14 ওরা দিনের বেলায় রাতের সম্মুখীন হয়
এবং দিনের বেলাতেই এমন করে হাতড়ে বেড়ায়, যেন রাত হয়ে গেছে|
15 ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন|
দুর্জন লোকদের শক্তি থেকে তিনি দরিদ্র লোকদের রক্ষা করেন|
16 তাই দরিদ্র লোকদের আশা আছে|
অধর্ম তার মুখ বন্ধ করে|
 
17 “যার দোষ ঈশ্বর সংশোধন করে দেন সে তো ঈশ্বরের আশীর্বাদপুত!
তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যখন তোমায় শাস্তি দেন তখন কোন অভিযোগ করো না|
18 ঈশ্বর যে আঘাত দেন,
তিনি নিজেই সে আঘাতের শুশ্রূষা করেন|
হয়তো তিনি কাউকে আঘাত করেন
কিন্তু তাঁর হাত আরোগ্যও দান করে|
19 ঈশ্বর তোমাকে সব সময়ই উদ্ধার করবেন,
যতবারই সংকট আসুক না কেন, সেটা তোমাকে আঘাত করবে না|§ আক্ষরিক অর্থে, “তিনি ছয় রকমের সমস্যা থেকে তোমাকে রক্ষা করবেন এবং সপ্তম সমস্যায় মন্দ কিছু তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না|
20 যখন দুর্ভিক্ষ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন|
যখন যুদ্ধ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন|
21 ঈশ্বর তোমাকে অপবাদ থেকে রক্ষা করবেন|
বিপর্যয় এলে তুমি ভয় পাবে না|
যখন মন্দ কিছু ঘটবে তখন তোমার ভয়ের কোন কারণ নেই|
22 দুর্ভিক্ষ ও ধ্বংসের দিনগুলোকে তুমি উপহাস করবে|
তুমি বন্য জন্তুদের ভয় পাবে না|
23 মনে হচ্ছে যেন বন্য জন্তু ও মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার একটি শান্তি চুক্তি রয়েছে|
এমনকি বন্য পশুরাও তোমার সঙ্গে শান্তিতে থাকবে|
24 তুমি জানবে যে তোমার বাড়ি শান্তিতে আছে|
তোমার সম্পত্তির হিসাব করে দেখবে কোন কিছুই খোয়া যায় নি|
25 তুমি জানবে যে তোমার প্রচুর সন্তানাদি হবে|
পৃথিবীতে যত ঘাস আছে তোমার উত্তরপুরুষদের সংখ্যাও ততগুলোই হবে|
26 তুমি সেই গমের মত হবে যে গম ফসল কাটা পর্যন্ত বাড়তে থাকে|
হ্যাঁ, বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তুমি পূর্ণ শক্তিতে বেঁচে থাকবে|
 
27 “ইয়োব, এই বিষয়গুলো আমরা অনুধাবন করেছি এবং আমরা জানি সেগুলি সত্যি|
তাই ইয়োব, আমাদের কথা শোন, এবং তোমার নিজের জন্য সেগুলো শেখো|”
 

*5:4: নগরদ্বার সেই স্থান যেখানে আদালত বসে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়|

5:7: মানুষ … বাধ্য অথবা “মানুষ সমস্যাকে জন্ম দেয়|”

5:11: বিজয়প্রাপ্ত অথবা “পরিত্রাণ|”

§5:19: আক্ষরিক অর্থে, “তিনি ছয় রকমের সমস্যা থেকে তোমাকে রক্ষা করবেন এবং সপ্তম সমস্যায় মন্দ কিছু তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না|