ইষাখর, বিন্যামীন প্রভৃতি ছয় গোষ্ঠীর বংশাবলি।
১ ইষাখরের চারজন ছেলে হল তোলয়, পূয়, যাশূব ও শিম্রোণ। ২ তোলয়ের ছেলেরা হল উষি, রফায়, যিরীয়েল, যহময়, যিব্‌সম, ও শমূয়েল। এঁরা ছিলেন নিজের নিজের বংশের নেতা। দায়ূদের রাজত্বের সময়ে তোলয়ের বংশের যে সব লোকদের যোদ্ধা হিসাবে বংশ তালিকায় নাম লেখা হয়েছিল তারা সংখ্যায় ছিল বাইশ হাজার ছয়শো।
৩ উষির ছেলের নাম যিষ্রাহিয়। যিষ্রাহিয়ের ছেলেরা হল মীখায়েল, ওবদিয়, যোয়েল ও যিশিয়। যিষ্রাহিয় মোট পাঁচজন, এরা সবাই প্রধান লোক ছিলেন। ৪ তাঁদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে ছিল অনেক; কাজেই তাঁদের বংশ তালিকার হিসাব মত যুদ্ধ করবার জন্য প্রস্তুত লোকদের সংখ্যা ছিল ছত্রিশ হাজার। ৫ ইষাখর গোষ্ঠীর সমস্ত বংশের ভাইয়েরা ও বলবান বীর ছিল, মোট সাতাশি হাজার যোদ্ধার নাম বংশ তালিকায় লেখা হয়েছিল।
৬ বিন্যামীনের তিনজন ছেলে হল বেলা, বেখর, ও যিদীয়েল। ৭ বেলার পাঁচজন ছেলে হল ইষ্‌বোণ, উষি, উষীয়েল, যিরেমোৎ ও ঈরী। এঁরা ছিলেন নিজের নিজের বংশের নেতা। তাঁদের বংশ তালিকায় বাইশ হাজার চৌত্রিশ জন লোকের নাম যোদ্ধা হিসাবে লেখা হয়েছিল।
৮ বেখরের ছেলেরা হল সমীরাঃ, যোয়াশ, ইলীয়েষর, ইলিয়ৈনয়, অম্রি, যিরেমোৎ, অবিয়, অনাথোৎ ও আলেমৎ। ৯ তাদের বংশ তালিকায় নেতাদের নাম ও কুড়ি হাজার দুশো জন যোদ্ধার নাম লেখা হয়েছিল।
১০ যিদীয়েলের একজন ছেলের নাম বিলহন। বিলহনের ছেলেরা হল যিয়ূশ, বিন্যামীন, এহূদ, কনানা, সেথন, তর্শীশ ও অহীশহর। ১১ যিদীয়েলের বংশের এই সব লোকেরা ছিলেন বংশের নেতা ও বীর যোদ্ধা। তাঁদের সতেরো হাজার দুশো লোক যুদ্ধে যাবার জন্য যোগ্য ছিল।
১২ শুপ্পীম ও হুপ্পীম ছিল ঈরের ছেলে এবং হূশীম ছিল অহেরের ছেলে।
১৩ নপ্তালির ছেলেরা হল যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শল্লুম। এরা বিলহার নাতি ছিল।
১৪ মনঃশির ছেলেরা হল অস্রীয়েল ও গিলিয়দের বাবা মাখীর। মনঃশির অরামীয় উপস্ত্রীর গর্ভে এদের জন্ম হয়েছিল। ১৫ মাখীর হুপ্পীম ও শুপ্পীম থেকে একটি স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন। মাখীরের বোনের নাম ছিল মাখা। মনঃশির বংশের আর একজন লোক ছিল সলফাদ। তার ছিল সব মেয়ে। ১৬ মাখীরের স্ত্রী মাখার গর্ভে পেরশ নামে একটি ছেলের জন্ম হয়েছিল। তার ভাইয়ের নাম ছিল শেরশ এবং তার ছেলেদের নাম ছিল ঊলম ও রেকম।
১৭ ঊলমের একজন ছেলের নাম বদান। এরা ছিল গিলিয়দের বংশের লোক। গিলিয়দ মাখীরের ছেলে আর মাখীর মনঃশির ছেলে। ১৮ গিলিয়দের বোন হম্মোলেকতের ছেলেরা হল ঈশ্‌হোদ, অবীয়েষর ও মহলা।
১৯ শমীদার ছেলেরা হল অহিয়ন, শেখম, লিক্‌হি ও অনীয়াম।
২০ ইফ্রয়িমের একজন ছেলের নাম শূথেলহ, শূথেলহের ছেলে বেরদ, বেরদের ছেলে তহৎ, তহতের ছেলে ইলিয়াদা, ইলিয়াদার ছেলে তহৎ, ২১ তহতের ছেলে সাবদ এবং সাবদের ছেলে শূথেলহ। ইফ্রয়িমের আরও দুই ছেলের নাম ছিল এৎসর ও ইলিয়দ। দেশে জন্মগ্রহণকারী গাতের লোকদের হাতে তারা মারা পড়েছিল, কারণ তারা গাতীয়দের পশু চুরি করবার জন্য গাতে গিয়েছিল। ২২ তাদের বাবা ইফ্রয়িম অনেক দিন পর্যন্ত তাদের জন্য শোক করেছিলেন। তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিল। ২৩ এর পর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে পর তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী হলেন এবং একটি ছেলের জন্ম হল। ইফ্রয়িম তার নাম রাখলেন বরীয়, কারণ তাঁর পরিবারে তখন অমঙ্গল নেমে এসেছিল। ২৪ তাঁর মেয়ের নাম ছিল শীরা। শীরা উপরের ও নীচের বৈৎ-হোরোণ ও উষেণশীরা গড়ে তুলেছিল।
২৫ বরীয়ের ছেলে রেফহ, রেফহের ছেলে রেশফ, রেশফের ছেলে তেলহ, তেলহের ছেলে তহন, ২৬ তহনের ছেলে লাদন, লাদনের ছেলে অম্মীহূদ, অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা, ২৭ ইলীশামার ছেলে নূন ও নূনের ছেলে যিহোশূয়।
২৮ বৈথেল ও তার চারপাশের গ্রামগুলো, পূর্ব দিকে নারণ, পশ্চিম দিকে গেষর ও তার চারপাশের গ্রামগুলো ছিল ইফ্রয়িমের জমিজমা ও বাসস্থান। এছাড়া শিখিম ও তার গ্রামগুলো থেকে অয়া ও তার গ্রামগুলো পর্যন্ত ছিল তাদের এলাকা। ২৯ মনঃশির সীমানা বরাবর বৈৎ-শান, তানক, মগিদ্দো, দোর ও এগুলোর চারপাশের সব গ্রামও ছিল তাদের। ইস্রায়েলের ছেলে যোষেফের বংশধরেরা এই সব শহরে ও গ্রামে বাস করত।
৩০ আশেরের ছেলেরা হল যিম্ন, যিশ্‌বাঃ, যিশ্‌বী ও বরীয়। সেরহ ছিল তাদের বোন। ৩১ বরীয়ের ছেলেরা হল হেবর ও মল্কীয়েল। মল্কীয়েল ছিল বির্ষোতের বাবা। ৩২ হেবরের ছেলেরা হল যফ্‌লেট, শোমের ও হোথম। শূয়া ছিল তাদের বোন। ৩৩ যফ্‌লেটের ছেলেরা হল পাসক, বিম্‌হল ও অশ্বৎ। ৩৪ শেমরের ছেলেরা হল অহি, রোগহ, যিহুব্ব ও অরাম। ৩৫ শেমরের ভাই হেলমের ছেলেরা হল শোফহ, যিম্ন, শেলশ ও আমল। ৩৬ শোফহের ছেলেরা হল সূহ, হর্ণেফর, শূয়াল, বেরী, যিম্র, ৩৭ বেৎসর, হোদ, শম্ম, শিল্‌শ, যিত্রণ ও বেরা। ৩৮ যেথরের ছেলেরা হল যিফুন্নি, পিসপ ও অরা। ৩৯ উল্লের ছেলেরা হল আরহ, হন্নীয়েল ও রিৎসিয়। ৪০ আশের গোষ্ঠীর এই সব লোকেরা ছিলেন নিজের নিজের বংশের নেতা। এঁরা প্রত্যেকে ছিলেন বাছাই করা শক্তিশালী যোদ্ধা ও প্রধান নেতা। আশেরের বংশ তালিকায় লেখা লোকদের মধ্যে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত লোকের সংখ্যা ছিল ছাব্বিশ হাজার।