৬৬
প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। সঙ্গীত, একটি গীত।
১ সমস্ত পৃথিবী ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আনন্দ চিত্কার কর। ২ তাঁর নামের গৌরব প্রকাশ কর, তাঁর প্রশংসা মহিমান্বিত কর। ৩ ঈশ্বরকে বল, তোমার কাজ কীভাবে ভয়ঙ্কর হয়! তোমার পরাক্রমের মহত্ত্বে তোমার শত্রুরা তোমার কর্তৃত্ব স্বীকার করে। ৪ সমস্ত পৃথিবী তোমার আরাধনা করবে এবং তোমার উদ্দেশ্যে সঙ্গীত করবে; তারা তোমার নামে মহিমা করবে। সেলা* ৫ চল, ঈশ্বরের কাজ দেখ; মানবসন্তানদের কাজের বিষয়ে তিনি ভয়ঙ্কর। ৬ তিনি সমুদ্রকে শুকনো ভূমিতে পরিণত করলেন; তারা পায়ে হেঁটে নদীর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল; তাতে সেই স্থানে আমরা আনন্দ করলাম। ৭ তিনি নিয়মের দ্বারা চিরকাল কর্তৃত্ব করেন; তাঁর চোখ জাতিদের নিরীক্ষণ করে; বিদ্রোহীরা নিজেকে উচ্চ প্রশংসা না করুক। সেলা* ৮ অহ, জাতিরা, আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা কর এবং তাঁর প্রশংসাধ্বনি শোনা উচিত। ৯ তিনিই আমাদের জীবনের মধ্যে আমার প্রাণ রক্ষা করেন এবং আমাদের পা টলতে দেন না। ১০ কারণ তুমি, ঈশ্বর, তুমি আমাদের পরীক্ষা করেছ; রৌপ্য যেমন পরীক্ষা করা হয় তেমনি আমাদেরকে পরীক্ষা করেছ। ১১ তুমি আমাদেরকে একটি জালের মধ্যে এনেছ; আমাদের কোমরের উপরে বোঝা রেখেছ। ১২ তুমি আমাদের মাথার উপরে তুলেছ; আমরা আগুন ও জলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাদেরকে সমৃদ্ধি স্থানে নিয়ে আস। ১৩ আমি হোমবলি নিয়ে তোমার গৃহে প্রবেশ করব, তোমার উদ্দেশ্যে আমার প্রতিজ্ঞা সব পূর্ণ করব। ১৪ যা আমার ঠোঁট প্রতিশ্রুতি করে এবং যা বিপদের সময়ে আমার মুখ বলেছে। ১৫ আমি তোমার উদ্দেশ্যে মেষশাবকের সঙ্গে আমি একটি হোমবলি উৎসর্গ করব; আমি ষাঁড় এবং ছাগলগুলো প্রদান করব। সেলা* ১৬ আসো এবং শোন, তোমরা যারা ঈশ্বরকে ভয় কর এবং আমার প্রাণের জন্য তিনি যা করেছেন, তার ঘোষণা করি। ১৭ আমি নিজের মুখে তাঁকে ডাকলাম এবং তাঁর প্রশংসা আমার জিভে ছিল। ১৮ যদি আমি আমার হৃদয়ের দ্বারা পাপের দিকে তাকাতাম, তবে প্রভু শুনতেন না। ১৯ কিন্তু সত্যি ঈশ্বর শুনেছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে মনোযোগ করেছেন। ২০ ধন্য ঈশ্বর যিনি আমার প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করে নি বা আমার থেকে নিজের নিয়মের বিশ্বস্ততাকে দূরে করেননি।