পবিত্র জীবন যাপনের ব্যবস্থা।
১ ঈশ্বর তোমাদের খ্রীষ্টের সঙ্গে তুলেছেন, যেখানে খ্রীষ্ট ঈশ্বরের ডান পাশে বসে আছেন সেই স্বর্গীয় জায়গার বিষয় চিন্তা কর।
২ স্বর্গীয় বিষয় ভাব, পৃথিবীর বিষয় ভেবো না।
৩ তোমরা মারা গেছ এবং ঈশ্বর তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছেন।
৪ তোমাদের জীবনে যখন খ্রীষ্ট প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর প্রতাপে প্রকাশিত হবে।
৫ তোমরা পৃথিবীর পাপপূর্ণ স্বভাব নষ্ট করে ফেল যেমন- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, খারাপ ইচ্ছা লোভ এবং মূর্তিপূজা।
৬ এই সব কারণে অবাধ্য সন্তানদের ওপর ঈশ্বরের রাগ সৃষ্টি হয়।
৭ একসময় যখন তোমরা এইভাবে জীবন যাপন করতে তখন তোমরাও এইভাবে চলতে।
৮ কিন্তু এখন তোমরা অবশ্যই এই সব জিনিস ত্যাগ করবে ক্রোধ, রাগ, হিংসা, ঈশ্বরনিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বেরনো বাজে কথা।
৯ একজন অপরকে মিথ্যা কথা বল না, কারণ আগে যা অনুশীলন করতে তা ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোর মত ফেলে দাও,
১০ এবং তুমি সেই নূতন মানুষকে পরিধান করেছ, যা তোমাকে জ্ঞানের প্রতিমূর্ত্তিতে নতুনিকৃত করেছে সেই সৃষ্টি কর্তার প্রতিমূর্ত্তিতে।
১১ এখানে এই জ্ঞানের মধ্যে গ্রীক এবং ইহূদি, ছিন্নত্বক এবং অচ্ছিন্নত্বক, বর্ব্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলে কিছু নেই, কিন্তু খ্রীষ্টই সব।
১২ ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন পবিত্র এবং প্রিয় লোকদের- করুণার চিত্ত, দয়া, নম্রতা, মৃদূতা, ধৈর্য্য এই গুণগুলি পালন কর।
১৩ একে অপরকে সহ্য কর। একে অপরের মঙ্গলময় হও। যদি কারোর বিরুদ্ধে দোষ দেবার থাকে তবে উভয় উভয়কে ক্ষমা কর, প্রভু যেভাবে তোমাদের ক্ষমা করেছেন, তোমরাও সেভাবে কর।
১৪ এই সব জিনিস গুলোকে ভালবাসা দিয়ে সাজাও, ভালবাসাই সব কিছুকে একসঙ্গে বাঁধতে পারে।
১৫ খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়কে শাসন করুক। এই ছিল সেই শান্তি যা তোমাদের এক দেহে ছিল। কৃতজ্ঞ হও।
১৬ খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুর পরিমাণে তোমাদের হৃদয়ে বাস করুক। তোমাদের সব জ্ঞান দিয়ে গীত এবং স্ত্রোত্র এবং আত্মিক গান দিয়ে একে অপরকে শিক্ষা ও চেতনা দাও, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তোমরা হৃদয় দিয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের সঙ্গে গান কর।
১৭ এবং তোমরা কথায় অথবা কাজে যা কিছু কর সবই প্রভু যীশুর নামে কর এবং তাঁর মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর।
খ্রীষ্টীয় পরিবারের জন্য নিয়ম।
১৮ স্ত্রীরা, তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও, যেমন এটা প্রভুতে উপযুক্ত।
১৯ স্বামীরা, তোমাদের স্ত্রীকে ভালবাসো এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কর না।
২০ শিশুরা, তোমরা সব বিষয়ে পিতামাতাকে মান্য কর, এটা প্রভুকে বেশি সন্তুষ্ট করে।
২১ পিতারা, তোমাদের শিশুদের রাগিও না, তারা যেন হতাশ না হয়।
২২ দাসেরা, যারা শরীরের সম্পর্কে তোমাদের প্রভু তোমরা তাদের সব বিষয়ে মান্য করো, লোককে সন্তুষ্ট করার মত চাক্ষুষ সেবা কোর না কিন্তু অকৃত্রিম হৃদয়ে প্রভুকে ভয় করে সেবা কর।
২৩ যা কিছু কর, প্রাণ দিয়ে কাজ কর, প্রভুর কাজ হিসাবে কর, লোকের হিসাবে নয়।
২৪ তোমরা জান তোমরা উত্তরাধিকার সুত্রে প্রভুর কাছ থেকে পুরষ্কার পাবে। তোমরা প্রভু খ্রীষ্টের দাসের কাজ কর।
২৫ যে অন্যায় করে, সে অন্যায়ের প্রতিফল পাবে এবং এখানে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই।