১৪
সদাপ্রভুর দিনের বর্ণনা
১ দেখ! সদাপ্রভুর দিন আসছে, যখন তোমাদের লুট হওয়া জিনিস তোমাদের মধ্যই ভাগ করে নেওয়া হবে! ২ কারণ আমি যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য সমস্ত জাতিকে জড়ো করব এবং সেই শহর দখল করা হবে! সমস্ত বাড়ি লুটপাট করা হবে এবং স্ত্রীলোকদের ধর্ষণ করা হবে! শহরের অর্ধেক লোক বন্দী হয়ে বাইরে যাবে কিন্তু বাকী লোকদের শহর থেকে উচ্ছিন্ন করা হবে না। ৩ কিন্তু সদাপ্রভু বের হবেন এবং যুদ্ধের দিনে যেমন করেন সেইভাবে তিনি সমস্ত জাতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন! ৪ সেই দিন তিনি এসে জৈতুন পাহাড়ের উপরে দাঁড়াবেন, যেটি যিরূশালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত; এবং জৈতুন পাহাড় পূর্ব থেকে পশ্চিমে চিরে যাবে এবং অর্ধেক উত্তরে ও অর্ধেক দক্ষিণে সরে গিয়ে একটা বড় উপত্যকার সৃষ্টি করবে। ৫ তোমরা পাহাড়ের সেই উপত্যকা দিয়ে পালিয়ে যাবে, কারণ সেই উপত্যকা আৎসল পর্যন্ত চলে যাবে। যিহূদার রাজা উষিয়ের সময়ে ভূমিকম্পের জন্য তোমরা যেভাবে পালিয়ে গিয়েছিলে সেইভাবেই তোমরা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। তখন আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আসবেন এবং সমস্ত পবিত্রজন তোমার সঙ্গে থাকবেন! ৬ সেই দিন এমন হবে যে, সেখানে কোন আলো থাকবে না, না ঠান্ডা না তুষারপাত হবে। ৭ সেই দিনটি শুধুমাত্র সদাপ্রভুই জানেন, সেখানে আর কখনো দিন ও রাত হবে না, কারণ সন্ধ্যাবেলা আলোর মত হবে। ৮ সেই দিন এমন হবে যে, গরমকাল হোক কি শীতকাল যিরূশালেম থেকে জলের ধারা বের হয়ে অর্ধেকটা পূর্ব সাগরের দিকে আর অর্ধেকটা পশ্চিম সাগরের দিকে বয়ে যাবে। ৯ সমস্ত পৃথিবীর উপরে সদাপ্রভু রাজা হবেন! সেই দিন সদাপ্রভুই অদ্বিতীয় হবেন এবং তাঁর নামও অদ্বিতীয় হবে! ১০ যিরূশালেমের দক্ষিণে গেবা থেকে রিম্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ অরাবা সমভূমির মত হবে, কিন্তু যিরূশালেমকে উচ্চ করা হবে এবং তার জায়গায় বসবাস করবে, বিন্যামীনের ফটক থেকে প্রথম ফটক ও কোণার ফটক পর্যন্ত এবং হননেলের দুর্গ থেকে রাজার আঙ্গুর পেষণের স্থান পর্যন্ত। ১১ লোকেরা যিরূশালেম বাস করবে এবং তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস আর কখনও হবে না; যিরূশালেম নিরাপদে থাকবে! ১২ যে সমস্ত জাতি যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে তাদের আঘাত করবেন। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই তাদের গায়ের মাংস পচে যাবে! এবং তাদের চোখ চোখের গর্তের মধ্যেই পচে যাবে ও মুখের মধ্যে জিভ পচে যাবে! ১৩ সেই দিন এমন হবে, সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের মধ্য গোলমাল উপস্থিত হবে এবং প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীর হাত ধরবে ও প্রত্যেক হাত তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠবে! ১৪ আর যিহূদাও যিরূশালেমে যুদ্ধ করবে! তারা আশেপাশের সমস্ত জাতিদের ধন সম্পদ, সোনা, রূপা ও সুন্দর পোশাক প্রচুর পরিমাণে জড়ো করবে। ১৫ একই রকম মহামারী ঘোড়া, খচ্চর, উট, গাধা এবং অন্যান্য সব পশু যা সেই সমস্ত শিবিরে থাকবে তাদের উপরেও থাকবে এবং তারাও সেই মহামারীর আঘাত পাবে। ১৬ পরে সেই সমস্ত জাতি যারা যিরূশালেমের বিরুদ্ধে এসেছিল, তাদের মধ্য যারা বেঁচে থাকবে তারা প্রতি বছর সেই রাজা, বাহিনীদের সদাপ্রভুর উপাসনা করবার জন্য এবং কুটির উত্সব পালন করবার জন্য যিরূশালেমে আসবে। ১৭ আর যদি পৃথিবীর কোন জাতি বাহিনীদের সদাপ্রভুর আরাধনা করবার জন্য যিরূশালেমে না যায় তবে সদাপ্রভু তাদের দেশে বৃষ্টি দেবেন না! ১৮ এবং যদি মিশরীয়েরা না যায় এবং উপস্থিত না হয়, তবে তারাও বৃষ্টি পাবে না। যে সমস্ত জাতি উপস্থিত হবে না ও কুটির উত্সব পালন করবে না তাদের সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে আঘাত করবেন। ১৯ মিশর এবং অন্যান্য যে সমস্ত জাতি যারা কুটির উত্সব পালন না করবে তাদের এই শাস্তিই দেওয়া হবে। ২০ কিন্তু সেই দিনে “সদাপ্রভুর উদ্দ্যেশে পবিত্র” এই কথা ঘোড়ার গলার ঘণ্টায় খোদাই করা থাকবে এবং সদাপ্রভুর গৃহের রান্নার পাত্রগুলো বেদীর সামনের বাটিগুলোর মত হবে। ২১ যিরূশালেম ও যিহূদার প্রত্যেকটি রান্নার পাত্র বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য পবিত্র হবে এবং যে কেউ বলিদান নিয়ে আসে তারা সেই সমস্ত পাত্রগুলি থেকে খাবে এবং সেগুলোতে রান্না করবে। সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহে আর কোনো ব্যবসায়ী থাকবে না!