2
প্রিয়তম। 
 1 আমি শারোণের উপত্যকার 
একটি লিলি ফুল। 
প্রেমিকা। 
 2 কাঁটাবনের মধ্যে যেমন লিলি ফুল, 
আমার দেশের মেয়েদের মধ্যে 
তেমন তুমি, আমার প্রিয়। 
প্রিয়তম। 
 3 বনের গাছপালার মধ্যে যেমন আপেল গাছ, 
তেমনি যুবকদের মধ্যে আমার প্রিয়। 
আমি তাঁর ছায়াতে বসে আনন্দ পাই, 
আমার মুখে তাঁর ফল মিষ্টি লাগে। 
 4 তিনি আমাকে খাবার ঘরে নিয়ে গেলেন, 
আর আমার উপরে প্রেমই তাঁর পতাকা হল। 
 5 কিশমিশের পিঠে খাইয়ে আমাকে শক্তিশালী কর 
আর আপেল দিয়ে আমাকে সতেজ করে তোলো, 
কারণ আমি প্রেমে দুর্বল হয়ে পরেছি। 
 6 তাঁর বাঁ হাত আমার মাথার নীচে আছে, 
তাঁর ডান হাত আমাকে জড়িয়ে ধরে। 
 7 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, 
আমি কৃষ্ণসার হরিণ ও 
মাঠের হরিণদের নামে দিব্যি দিয়ে বলছি, 
তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না 
বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার বাসনা হয়। 
 8 ঐ শোন, আমার প্রিয়ের শব্দ, ঐ দেখ, তিনি আসছেন; 
তিনি পাহাড় পর্বতের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছেন। 
 9 আমার প্রিয় যেন কৃষ্ণসার হরিণ অথবা হরিণের বাচ্চা। 
দেখ, তিনি আমাদের দেওয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন, 
তিনি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছেন, 
জালির মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছেন। 
 10 আমার প্রিয়তম আমাকে বলল, 
“আমার প্রিয়, ওঠো; আমার সুন্দরী, 
আমার সঙ্গে এস। 
 11 দেখ, শীতকাল চলে গেছে; 
বর্ষা শেষ হয়েছে এবং চলে গেছে। 
 12 মাঠে মাঠে ফুল ফুটেছে, 
গানের দিন এসেছে; 
আমাদের দেশে ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে। 
 13 ডুমুর গাছে ফল ধরতে শুরু হয়েছে; 
আঙ্গুর লতায় ফুল ধরে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। 
হে আমার প্রিয়, ওঠো, এস; আমার সুন্দরী, 
এস আমার সঙ্গে।” 
প্রেমিক। 
 14 ঘুঘু আমার, তুমি পাহাড়ের ফাটলে, 
পাহাড়ের গায়ের লুকানো জায়গায় রয়েছ; 
আমাকে তোমার মুখ দেখাও, 
তোমার গলার স্বর শুনতে দাও, 
কারণ তোমার স্বর মিষ্টি আর মুখের চেহারা সুন্দর। 
 15 তোমরা সেই শিয়ালগুলোকে* শিয়ালগুলোকে বলতে সম্ভবতঃ অন্য লোককে বোঝায় যে যুবতী স্ত্রীর স্নেহের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করছে  আমাদের জন্য, 
সেই ছোট ছোট শিয়ালগুলোকে ধর, 
কারণ তারা আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতগুলো নষ্ট করে; 
আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতে ফুলের কুঁড়ি ধরেছে। 
প্রিয়তম। 
 16 আমার প্রিয় আমারই আর আমি তাঁরই; 
তিনি লিলি ফুলের বনে চরেন। 
 17 হে আমার প্রিয়, তুমি ফিরে এসো; 
যতক্ষণ না ভোর হয় আর অন্ধকার চলে যায় ততক্ষণ তুমি থাক। 
অসমতল পাহাড়ের উপর তুমি 
কৃষ্ণসার হরিণ কিংবা বাচ্চা হরিণের মত হও।